ঢাকা | নভেম্বর ১৮, ২০২৪ - ৯:০১ অপরাহ্ন

বঙ্গোপসাগরে ৪ ট্রলার ডুবে ৪৭ জেলে নিখোঁজ

  • আপডেট: Saturday, August 20, 2022 - 8:37 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: গভীর বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ভোলার ৪টি মাছ ধরা ট্রলার ৬০ জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে ডুবে গেছে। এদের মধ্যে ১৩ জনকে ভাসমান অবস্থায় পাশে থাকা অন্য তিনটি ট্রলার উদ্ধার করলেও এখনো ৪৭ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন লালমোহন উপজেলা মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা তানভির আহমেদ। এছাড়া ৪টি ট্রলার ডুবে যাওয়ার বিষয় এসব ট্রলারের মালিকরাও নিশ্চিত করেছেন।

মেরিন ফিশারিজ কর্মকর্তা জানান, ভোলার লালমোহন উপজেলার বাতির খাল এলাকার হারুন অর রশিদ ফারুক মাঝির ট্রলার, লর্ডহার্ডিঞ্জ বুড়িরদোন এলাকার নূরুউদ্দিন মাঝির ট্রলার ও গাইট্টা এলাকার নাজিম উদ্দিন মাঝির ট্রলরসহ আরও একটি ট্রলার ঝড়ের কবলে পড়ে শুক্রবার গভীর রাতে বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার ফিশিং গ্রাউন্ড এলাকায় ডুবে যায়। এ সময় আশপাশের জেলেরা ১৩ জেলেকে জীবিত উদ্ধার করলেও ৪৭ জেলে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।

খবর পাওয়া পরপরই উদ্ধার হওয়া জেলেদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া নিখোঁজ জেলেদের সন্ধান চলছে বলে জানান ফিশারিজ কর্মকর্তা তানভির আহমেদ।

ডুবে যাওয়া ট্রলারের মালিক হারুন অর রশিদ ফারুক জানান, গত ১৭ আগস্ট দুপুরে বাতিরখাল ঘাট থেকে ১৩ জন মাঝি-মাল্লা নিয়ে গভীর সমুদ্রে যায় তার ট্রলার। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ট্রলারটি হঠাৎ গভীর সমুদ্রে ঝড়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। জেলেদের সন্ধান না পেলেও শনিবার সকালে সুন্দরবন এলাকা থেকে ফোনে তিনি জানতে পারেন, অন্য দুটি ট্রলারের সাহায্যে ৮ জন জেলে উদ্ধার হয়েছে। তারা সুন্দরবন এলাকায় আছে। বাকি ৫ জনের এখনো কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি বলে জানান এই ট্রলার মালিক। তার ট্রলারের নিখোঁজ জেলেরা হলেন, আব্দুল মোতালেব, আবুল কালাম, আরিফ, নিরব ও মাকসুদ।

অন্যদিকে লর্ডহার্ডিঞ্জ এলাকার বাকি তিনটি ডুবে যাওয়া ট্রলারের ৫ জনকে উদ্ধার করে নোয়াখালীর হাতিয়ায় রাখা হয়েছে। বাকি ৪২ জেলের এখনো খোঁজ মেলেনি বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া।