বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফেরাতে কূটনৈতিক সহায়তা চান আইনমন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পলাতক খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে কূটনীতিকদের সহযোগিতা চেয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে কূটনীতিকদের নিয়ে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ সহযোগিতা চান। ‘আগস্ট, অমোচনীয় কালিমা’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপকমিটি। অনুষ্ঠানে জার্মানি, রাশিয়া, সৌদি আরব, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেছেন, পলাতকদের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য চাওয়া হয়নি, বরং আইনের মুখোমুখি এবং আইনের শাসন নিশ্চিত করতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো দেশ সেই অনুরোধ রক্ষা করেনি।
বঙ্গবন্ধুর খুনিদের মধ্যে এবিএমএইচ নূর চৌধুরী কানাডায় এবং রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন বলে নিশ্চিত তথ্য রয়েছে। এছাড়া আব্দুর রশীদ, শরীফুল হক ডালিম ও মোসলেম উদ্দিনের অবস্থানের বিষয়ে নিশ্চিত তথ্য মেলেনি এখনও।
আনিসুল হক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবার এবং আত্মীয়স্বজনসহ হত্যাকাণ্ড শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা পৃথিবীর সবচেয়ে জঘন্যতম বর্বর এবং মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধ।
১৯৭৫ সালের অগাস্টে বঙ্গবন্ধুকে খুন করার পর অপরাধীরা বিভিন্ন দেশে পালিয়ে যান। এরপর দীর্ঘ ২১ বছর রক্তের উত্তরাধিকার কেউ ক্ষমতায় না থাকায় বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারের মুখোমুখি করা সম্ভব হয়নি।
১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সরকার গঠন করে ইনডেমিনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করলে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের বিচারের পথ খোলে। আদালতের রায়ে দণ্ডিত ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, যেসব দেশে বঙ্গবন্ধু খুনের অভিযুক্তরা পালিয়ে আছেন, সেসব দেশকে আমরা তাদের বিচারের মুখোমুখি করে আইনের শাসন কায়েম করার সুযোগ চেয়ে তাদের ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করি।
অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে এম আব্দুল মোমেন বলেন, আমি আমার সকল বিদেশি বন্ধুদের কাছে আইনের শাসন ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সহযোগিতা চাই। এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তারা আমাদের সহযোগিতা করতে পারেন।
আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপকমিটির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. জামিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকও বক্তব্য রাখেন।