ঢাকা | নভেম্বর ১৯, ২০২৪ - ৯:২৯ পূর্বাহ্ন

চকচকে শহরের অন্তরালের রূপকার এমপি বাদশা

  • আপডেট: Friday, August 19, 2022 - 10:30 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মহানগর এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের আমলের সময় ও বর্তমান সময়ের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরে মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু বলেছেন, ২০০৮ সালের পরে রাজশাহীতে যত পরিবর্তন হয়েছে, সবখানেই এমপি ফজলে হোসেন বাদশার অবদান আছে। শুধু তাই নয়, আজকে যে চকচকে রাজশাহী শহর, সেটিরও অন্তরালের রূপকার এমপি বাদশা।

শুক্রবার বিকালে শহরের পিটিআই হলরুমে আয়োজিত এক কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহানগরীর ৪ নম্বর ওয়ার্ড ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে এই কর্মিসভার আয়োজন করা হয়। কর্মিসভায় দেবু বলেন, আমরা প্রত্যাশা করেছিলাম; রাজশাহীতে ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে কোন নেতা নেতৃত্বে আসলে এই শহর একটি মডেল শহর হিসেবে দৃষ্টান্ত লাভ করবে। ফজলে হোসেন বাদশা এমপি হওয়ার পরে আজকে ভালো করে তাকালে সেই প্রমাণটাই পাওয়া যায়। ২০০৮ সালের আগের রাজশাহী ও বর্তমানের রাজশাহীর মধ্যেকার পার্থক্য রাজশাহীবাসী অবশ্যই উপলব্ধি করে।

ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতা আরও বলেন, শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আমুল পরিবর্তন ফজলে হোসেন বাদশার হাত ধরেই। বর্তমান সরকার এবং এমপি বাদশার বাইরে এখানে আর কারো কোন কৃতিত্ব নেই। বিএনপির আমলে অধিকাংশ স্কুল কলেজ ছিল টিন সেডের। এখন আমাদের ছেলেমেয়েরা নতুন-আধুনিক ভবনে বসে শিক্ষার আলো গ্রহণ করে। আমরা মনে করি, এর থেকে বড় কাঠামোগত উন্নয়ন আর হতে পারে না।

সাম্প্রতিক বিষয় তুলে ধরে দেবু বলেন, রাজশাহীতে আরও সংসদ সদস্যরা আছেন। খবরের পাতায় দেখি, কেউ শিক্ষক পিটিয়ে অভিযুক্ত, কেউ নারী কেলেঙ্কারীতে অভিযুক্ত, কেউ জমি দখল করে অভিযুক্ত, কেউ দুর্নীতি করে অভিযুক্ত। কিন্তু আমাদের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশার বিরুদ্ধে আজ পর্যন্তও কোন গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করতে পারেনি। এটিতে আমরা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতাকর্মীরা গর্ববোধ করি।

শহরের পশ্চিমাঞ্চলে পার্টিকে আরও বেশি শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ওয়ার্কার্স পার্টি রাজশাহীতে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। কারণ আমাদের দলে কোন লুটেরা, ঠিকাদার, দুর্নীতিবাজ নেই। যারা আছেন অধিকাংশই শ্রমজীবী। শ্রমিক কখনো স্বার্থের জন্য রাজনীতি করে না। আমরা ত্যাগের রাজনীতি করি। এটিকে বিকশিত করতে সাংগঠনিক শক্তি অর্জনের বিকল্প নেই।

৪ নম্বর ওয়ার্ড ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সামন্ত কুমার ঘোষ মাসেনের সভাপতিত্বে কর্মিসভায় বক্তব্য দেন, রাজপাড়া থানার সভাপতি আবদুল মতিন, মহানগর সদস্য ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান, মোকলেসুর রহমান মুকুল, মহানগর যুবমৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক আবদুল খালেক বকুল, মাসুম রেজা বিদ্যুৎ, মহানগর সদস্য মোশারোফ হোসেন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, জেলা সদস্য কামরুল হাসান সুমন প্রমুখ। কর্মিসভা সঞ্চালনা করেন রাজপাড়া থানার সাধারণ সম্পাদক মনিরুদ্দীন পান্না।