শিবির ক্যাডারের সাথে যোগসাজসে এমন নাটকের অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে কলেজছাত্রী উত্ত্যক্তের ঘটনায় ছাত্রলীগের নেতাসহ তিনজনের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। সংবাদ সম্মেলয়ে বলা হয়েছে উত্ত্যক্তের ঘটনাটি নাটক। হামলারও কোন ঘটনা ঘটেনি।
নগরীর একটি রেস্তোরাঁয় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে গ্রেপ্তার ছাত্রলীগের নেতার পরিবারের। সেখানে লিখিত বক্তব্য পড়েন ফরহাদের স্ত্রী। তিনি বলেন, তারা অন্য ধর্মের মানুষ হওয়ায় সুযোগ নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এই ষড়যন্ত্রের মূলহোতা রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও দুর্ধর্ষ ক্যাডার আশরাফুল ইসলাম ইমন। শিবির ক্যাডার ইমন নীল মাধব সাহাকে ব্যবহার করে এলাকায় অশান্ত করার লিপ্ত হয়েছে।
অভিযোগ করে বলেন, মেহেরচণ্ডি এলাকা এক সময় শিবিরের ক্যান্টমেন্ট হিসেবে পরিচিত ছিল। এলাকায় আবার আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে শিবির। তারা কয়েক মাস আগে মেহেরচণ্ডি এলাকায় পোস্টার, লিফলেট ও দেওয়াল লিখন করেছে। এতে বাধা দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মিরা। এরপর থেকে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। সে সময় ছাত্রলীগ নেতা প্রিন্সের ওপরর হামলা চালায় শিবিরের ক্যাডাররা। সে সময় আমরা বিচার পাইনি। এরপরও শিবির ক্যাডার ইমন ও সাঙ্গপাঙ্গরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াই।
তিনি বলেন, গত শুক্রবার যে হামলার ঘটনা বলা হয়েছে তা আসলে সঠিক না। রাবির স্টেশনে নীল মাধব ও শিবির ক্যাডার ইমনের সাথে প্রিন্সের সাথে কথাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। এক পর্যায়ে নীল মাধব পড়ে যায় তার মাথা ফেটে যায়। কিন্তু তারা এ ঘটনাকে ভিন্নভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। নীল মাধবের মেয়েকে এলাকায় কেউ উত্ত্যক্ত করেনি। তাদের সবাই সম্মান দিয়ে চলে। আমাদের এখানে সব ধর্মের মানুষদের সম্মান দেয়া হয়।
বুধবার রাতে এ ঘটনায় অভিযুক্ত মিরাজ, ফরহাদ ও আখের নামের তিন ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৫। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলখানায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
এর আগে গত বুধবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন নীল মাধব সাহা। তিনি সংবাদ সম্মেলয়ে অভিযোগ করে বলেন, গত ১২ আগস্ট সন্ধ্যায় কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় তাকে ও তার স্ত্রীর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতারা। সে সময় হাতুড়িপেটা করে মাথা ফাটিয়ে দেয় ছাত্রলীগ নেতা মহানগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি রুহুল আমিন প্রিন্স, ছাত্রলীগ নেতা ফরহাদ, মেরাজ, রায়হান, মামুন ও তাদের সহযোগী আখেরসহ কয়েকজন বখাটে।পরে থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি।