ঢাকা | অক্টোবর ৬, ২০২৪ - ৪:০৬ অপরাহ্ন

বাড়িতে বসেই বেতন নিতেন অনুব্রত-কন্যা

  • আপডেট: Wednesday, August 17, 2022 - 10:21 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: একের পর এক বিতর্কে জড়াচ্ছেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এ বার তার মেয়ের চাকরি নিয়ে অভিযোগ। অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে বুধবার জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েছিলেন সিবিআই কর্মকর্তারা। সূত্রের খবর, বিশেষ কোনও কথাই বলতে চাননি সুকন্যা।

তার কিছুক্ষণ পরেই বুধবার বিকেলে কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়ল সুকন্যার বিরুদ্ধে নতুন অভিযোগ। তিনি নিয়োগ পরীক্ষা না দিয়েই প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষিকার চাকরি পেয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, অভিযোগ আরও রয়েছে সুকন্যা কোনও দিন স্কুলেই যাননি। বাড়িতে বসেই বেতন পান। বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে আনন্দবাজার।

সুকন্যার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগও উঠেছে, স্কুলের রেজিস্টার খাতা তৃণমূল জেলা সভাপতির বাড়িতে নিয়ে আসা হত স্বাক্ষর নেওয়ার জন্য। এই অভিযোগ শুনে বৃহস্পতিবারই অনুব্রত-কন্যাকে আদালতে তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত চালাছে সিবিআই। বুধবার সেই মামলারই শুনানি ছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। সেই সময়ে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম অতিরিক্ত হলফনামা জমা দিয়ে সুকন্যার চাকরির বিষয়টি আদালতকে জানান। ওই আইনজীবীর দাবি, নিয়োগ (টেট) পরীক্ষা না দিয়েই সুকন্যা প্রাথমিকে চাকরি পেয়েছেন। তার নিয়োগ হয় বোলপুর ওয়েস্ট সার্কেলের কালিকাপুর প্রাইমারি স্কুলে। চাকরিতে যোগ দিলেও কোনও দিন স্কুলে যান না সুকন্যা।

তিনি আরও বলেন, স্কুলের রেজিস্টার খাতা অনুব্রতের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তার মেয়ের হাজিরা নিয়ে আসতেন এক জন। শুধু সুকন্যাই নয়, অনুব্রতের অনেক ঘনিষ্ঠ এবং আত্মীয় চাকরি পেয়েছেন বলেও অভিযোগ জানান ফিরদৌস।

গরুপাচার মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। তার মধ্যে তার মেয়েকে নিয়ে ওঠা এমন অভিযোগ শুনে আদালতে চুপ করে থাকতে দেখা যায় রাজ্য সরকার ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আইনজীবীদের। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কেও অবাক হতে দেখা যায়। অনুব্রতের ঘনিষ্ঠ মোট ছয় জন নিয়োগ (টেট) পরীক্ষা না দিয়েই চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন ফিরদৌস। সব শুনে সুকন্যা-সহ ওই ছয় জনকে নিয়োগ (টেট) পরীক্ষায় পাশ করার সার্টিফিকেট নিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই ছয়জন যাতে আদালতে অবশ্যই আসেন তা নিশ্চিত করতে হবে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন আদালত।