৬ জনের মরদেহ উদ্ধার, হস্তান্তরের আগে হবে ডিএনএ পরীক্ষা
অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর চকবাজারে পলিথিন কারখানার অগ্নিকাণ্ডে ছয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত ছয়জনের মধ্যে চারজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- মো. শরিফ (১৫), মো. বিল্লাল (৩৫), মো. স্বপন (২২), মো. ওসমান (২৫)। অপর দুজনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ধারণা করা হচ্ছে নিহতরা বরিশাল হোটেলের কর্মী, তারা সবাই ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের শুরুর দিকে হয়তো তারা মারা গেছেন।
সোমবার বিকেলে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা সদরের জোন-১ এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রশিদ বলেন, ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের শরীর এমনভাবে পুড়ে গেছে যে তাদের চেহারা দেখে চেনার উপায় নেই। আগুনে পুড়ে ওই পাঁচ মরদেহের হাড় বেড়িয়ে গেছে। আরেকজনের চেহারা দেখলে কিছুটা বুঝা যায়। ভবনের ভেতরে এখনো অভিযান চলছে। এ বিষয়ে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের ডিসি মো. জাফর হোসেন বলেন, উদ্ধার মরদেহগুলো মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ডিএনএ পরীক্ষা করে পরিচয় শনাক্ত হওয়ার পর মরদেহগুলো পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুর ১২টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৬ ইউনিট নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। পরে আরও ৪টি ইউনিট পাঠানো হয়। পরে দুপুর দুইটা ২০মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
সংস্থাটি জানায়, হোটেলের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণের পর আগুন শুরুতে বিদ্যুতের ট্রান্সফরমারে যায়। সেখানে আরেক দফা বিস্ফোরণের পর প্লাস্টিকের খেলনা তৈরির কারখানায় আগুন লাগে।
স্থানীয়রা জানান, চারতলা ভবনের তৃতীয় তলা পর্যন্ত পাকা ভবন আর চতুর্থ তলায় টিনশেড ঘর নির্মাণ করা আছে। এই টিনশেড ঘরটি মূলত প্লাস্টিকের খেলনা উৎপাদন ও মজুদের গোডাউন। এখান থেকে প্রথমে আগুনের সূত্রপাত হয়।