ঢাকা | ডিসেম্বর ২১, ২০২৪ - ৫:৩৫ অপরাহ্ন

পুঠিয়ার ঐতিহাসিক শিবমন্দিরে গংঙ্গাজল অর্পন

  • আপডেট: Monday, August 15, 2022 - 11:39 pm

পুঠিয়া প্রতিনিধি: “জয় বাবা ভোলানাথ জয় বাবা পুঠিয়া নাথ” এই শ্লোগানে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে শিবলিঙ্গে পবিত্র গংঙ্গাজল অর্পণ করা হয়।

সোমবার এশিয়ার সর্ববৃহৎ ঐতিহাসিক শিবমন্দিরে গংঙ্গাজল অর্পণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন উপজেলা হিন্দু কল্যান ও সংস্কার সমিতি।

পুঠিয়া উপজেলা হিন্দু কল্যান ও সংস্কার সমিতির সাধারণ সম্পাদক পল্লব কুমার সেনগুপ্ত বলেন, সোমবার ভোর থেকে স্থানীয় ও বহিরাগত হিন্দু ধর্মালম্বী ভক্তরা শিবমন্দিরে আসতে শুরু করেন। আগত ভক্তদের সার্বিক নিরাপত্তায় পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে পুলিশ-প্রশাসনের পাশাপাশি পূজা উদযাপন কমিটির লোকজন তাদের দ্বায়িত্ব পালন করেন।

আয়োজকরা বলেন, গঙ্গাজল অর্পণ করতে শুধুমাত্র পুরুষরা গেরুয়া ধুতি ও গেঞ্জি পরিধান করেছেন। আগত ভক্তরা একটি বাঁকা ভার দু’টি বড় ছিকা সম্বলিত দুই ঘটি গঙ্গাজল সাজিয়ে ক্ষেপা বাবা বোম, বোম, ধ্বনিতে মন্দিরে আসছেন। এরপর মন্দিরের চার পাশে সাতপাক ঘুরে শিবলিঙ্গের মাথায় পবিত্র গংঙ্গাজল অর্পন করেছেন।

তবে বহিরাগত কিছু ভক্ত রোববার বাঘা উপজেলায় অবস্থিত আড়ানী বাজারে ক্ষ্যাপা বাবার আশ্রমে অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে সারারাত্রী নাম-কীর্তন করে সোমবার ভোরে নদী থেকে ঘট ভর্তি গঙ্গা জল নিয়ে শিব মন্দিরে এসে গঙ্গাজল অর্পন করেছেন।

জানা গেছে, ১২৩০ বঙ্গঃ থেকে ১২৩৭ বঙ্গঃ পর্যন্ত উপমহাদেশের দৃষ্টিনন্দন সস্বলিত ঐতিহাসিক শিব মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়। আর মন্দিরটি নির্মাণ করেন মহারানী ভুবনমহন দেবী। যা এশিয়ার সর্ববৃহত শিব মন্দির হিসাবে পরিচিত। আর ১৯৮৯ ইং সালে বাঘা উপজেলার আড়নীর পাগলা বাবা প্রথম শিবমন্দিরে নগ্ন পদযাত্রা ও পবিত্র গংঙ্গাজল অর্পণের রীতি শুরু করেন। এরপর থেকে এখানে প্রতিবছর শ্রাবন মাসের শেষ সোমবার নগ্ন পদযাত্রা (বোম, বোম) অনুষ্ঠিত হয়।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাস্মদ আনাছ বলেন, প্রতি বছরের মত এবারও শিবমন্দিরে হিন্দু ধর্মালম্বীদের নগ্ন পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। আর পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।