ঢাকা | ডিসেম্বর ২১, ২০২৪ - ৬:২০ অপরাহ্ন

ডলার পাচার রোধে সীমান্তে কঠোর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

  • আপডেট: Saturday, August 13, 2022 - 10:14 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে ডলার পাচারের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সীমান্তে কঠোর নজরদারি করছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অন্যান্য ইউনিটও তৎপর।

সম্প্রতি ডলার পাচারের বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল শাহ মো. ইশতিয়াক বলেন, বিজিবির একটি বিশেষ টহলদল ফুলবাড়ি সীমান্ত পিলার ৮৫ থেকে নিয়ে ৩০০ গজ বাংলাদেশের ভেতরে অভিযান চালায়। এ সময় বিজিবির সদস্যরা দেখতে পান এক ব্যক্তি একটি ব্যাগ নিয়ে যাচ্ছে।

বিজিবি তাকে চ্যালেঞ্জ করলে তিনি দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ধরা পড়ার ভয়ে লোকটি ব্যাগ ছুঁড়ে ফেলে পালিয়ে যান। পরে বিজিবির টহলদল দুটি ভাগে বিভক্ত হয়। একটি দল চোরাকারবারিকে ধাওয়া করে। অপর দল ব্যাগ উদ্ধার করে। ব্যাগে কাগজে মোড়ানো আটটি প্যাকেটে ৮০ হাজার ইউএস ডলার পাওয়া যায়।

বিজিবি সদর দপ্তরের পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান বলেন, কিছু দিন আগে যশোর সীমান্তে একটি ব্যাগ থেকে আমরা ৩০ হাজার ডলার উদ্ধার করি। ডলার পাচার ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে বিজিবি। একই সঙ্গে সীমান্ত অপরাধ দমনে বাড়ানো হচ্ছে নজরদারি। ডলার যেই পাচার করতে যাক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। সীমান্তে তল্লাশির ক্ষেত্রে ইমিগ্রেশন পুলিশ, কাস্টমসসহ ৩/৪টি সংস্থার সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করেই ডলার পাচার রোধে কাজ করছি। তল্লাশি করতে গিয়ে কোনো নিরপরাধ যাত্রী যাতে হয়রানির শিকার না হয়- সেদিকটিও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা ছাড়া ডলার মজুদকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো সম্ভব নয়। তবে র‌্যাব ডলার মজুদকারীদের গোপনে মনিটরিং করছে। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলেই বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশে ডলার মজুদকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে।

ইতোমধ্যে ডলার নিয়ে খোলাবাজারে কারসাজি করায় দেশে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গত ২ আগস্ট পাঁচটি মানি চেঞ্জারের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া ৪২ মানি এক্সচেঞ্জকে শোকজ করা হয়েছে। অভিযানে আরো নয় প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স না নিয়ে এতদিন ডলারের ব্যবসা করে আসছিল।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর ডিবির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, কেউ যদি অবৈধভাবে ডলার মজুত করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়া কেউ অবৈধভাবে জাল ডলার তৈরি করে, সে তথ্য পেলেও চালানো হবে অভিযান। এ বিষয়ে আমরা তথ্য সংগ্রহ করছি।