কাঁচা মরিচের কেজি পৌনে ৩০০ টাকা ছাড়ালো
দুর্গাপুর প্রতিনিধি: সরবরাহ কম হওয়ায় দুর্গাপুর উপজেলায় কাঁচা মরিচের দাম পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। গত দুই তিনদিনের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৩০টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, বর্ষায় আবাদ কম হওয়ার কারণে সরবরাহে ঘাটতি থাকায় কাঁচা মরিচের দাম বেড়েই চলেছে।
শুক্রবার দুর্গাপুর উপজেলার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ টাকায়। যা দুই তিনদিন আগে ছিল ২৫০ টাকা। পাবনা বগুড়াসহ উত্তরের অনেক জেলা থেকে কাঁচা মরিচ সরবরাহ নেই। স্থানীয় কাঁচা মরিচের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়েছে।
দুর্গাপুর সদর সিংগা বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতা রাজু আহম্মেদ বলেন, বাহিরের জেলা থেকে কাঁচা মরিচ আসছে না। হঠাৎ করে বাজারে কাঁচা মরিচের আমদানি (সরবরাহ) অনেক কমে গেছে। পাইকারি প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২৪০-৫০টাকা কেজি দরে কিনতে হচ্ছে। খুচরা বিক্রি হচ্ছে ২৮০টাকা কেজি দরে। তিনি আরো বলেন, এক সপ্তাহ আগেও কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে ছিল। পাইকারি বাজারেই এর সংকট দেখা দিয়েছে, টাকা দিয়েও পাওয়া যাচ্ছে না।
পাইকারি ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এখন পাইকারি বাজারে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বাহির থেকে সরবরাহ না হওয়ায় স্থানীয় কাঁচা মরিচ দিয়ে চাহিদা পূরুণ করতে হচ্ছে। এ কারণে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। তিনি বলেন, সবচেয়ে বেশি কাঁচা মরিচ আসে পাবনা, বগুড়া সহ উত্তরবঙ্গের কিছু জেলা থেকে। এবার সেখানেও উৎপাদন কম হয়েছে। ফলে পাইকারি বাজারে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। দামও বেড়ে যাচ্ছে।
সদর বাজারের ক্রেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২৫০গ্রাম (একপোয়া) কাঁচা মরিচ কিনলাম ৭০টাকা দিয়ে। হঠাৎ গত কয়েক দিনের মধ্যেই কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, সরবরাহ নেই। তাই বেশি দাম। তাদের কথা বিশ্বাস করে আমাদেরও কিনতে বাধ্য হতে হচ্ছে।