পাওনা ১১ লাখ টাকা চেয়ে সামিয়া রহমানকে ঢাবির চিঠি
অনলাইন ডেস্ক: সম্প্রতি গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে পদাবনতি হওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সামিয়া রহমানের কাছে পাওনা সাড়ে ১১ লাখ টাকা পরিশোধের অনুরোধ করে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত বুধবার (৩ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার স্বাক্ষরিত এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠির একটি কপি বাংলাদেশ জার্নালের কাছে সংরক্ষিত রয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘আপনার (সামিয়া রহমান) পাঠানো ৩১ মার্চ ২০২২ তারিখের পত্রের বরাতে এবং ২৬ এপ্রিল তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দেনা-পাওনা সমন্বয় সাপেক্ষে গত বছরের ১৫ নভেম্বর থেকে বিধি মোতাবেক আগাম অবসর (আর্লি রিটায়ারমেন্ট) গ্রহণের অনুমতি প্রদান করা হয়েছে।’
চিঠিতে একইসঙ্গে সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী টাকা পরিশোধ না করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব পরিচালকের দপ্তরের রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় তার কাছে ১১ লাখ ৪১ হাজার ৬০১ টাকা পাবে বলে চিঠিতে জানানো হয়। যার মধ্যে মূল বেতন বাবদ ৬ লাখ ৭ হাজার ৫৭৪ টাকা, বাড়িভাড়া বাবদ ৩ লাখ ৩ হাজার ৭৮৭ টাকা, চিকিৎসা ভাতা বাবদ ১২ হাজার ৮০০ টাকা, গবেষণা ভাতা বাবদ ৪২ হাজার ৬৬৭ টাকা, অফ ক্যাম্পাস ভাতা বাবদ ৮ হাজার ৫৩৩ টাকা, বৈশাখী ভাতা ১৪ হাজার ২৪০ টাকা, উৎসব ভাতা ১ লাখ ৪২ হাজার ৪০০ টাকা, মোবাইল ফোন ভাতা ৯ হাজার ৬০ টাকা।
পাশাপাশি প্রভিডেন্ট ফান্ডে সুদসহ বিশ্ববিদ্যায়ের কাছে তার (সামিয়া রহমান) ১৬ লাখ ৫৮ হাজার ২১৬ টাকা জমা আছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। পাওনা টাকা জনতা ব্যাংক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, টিএসসি শাখায় পরিশোধ করে দপ্তরে রশিদ দাখিল করার অনুরোধ জানানো হয়।
উল্লেখ্য, গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সাপেক্ষে বিগত বছরের ২৮ জানুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় সামিয়া রহমানের পদাবনতি সিদ্ধান্ত হয়। এক্ষেত্রে সহযোগী অধ্যাপক থেকে তাকে দুই বছরের জন্য সহকারী অধ্যাপক রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর গত ৩১ আগস্ট ওই সিদ্ধান্তের বিপরীতে হাইকোর্টে রিট করেন সামিয়া রহমান। মামলা চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে অবসরের আবেদন করেন তিনি। তবে আদালত গত ৪ আগস্ট গবেষণায় চৌর্যবৃত্তির অভিযোগে তার পদাবনতির সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে আগের পদ (সহযোগী অধ্যাপক) অনুযায়ী তাকে চাকরিসংক্রান্ত সব সুবিধা দেওয়ার নির্দেশ দেয়।