ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ১০:২৪ পূর্বাহ্ন

গণপরিবহনে নতুন ভাড়া কার্যকর, দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

  • আপডেট: Sunday, August 7, 2022 - 11:45 am

অনলাইন ডেস্ক: জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির একদিন পরে বেড়েছে পরিবহন ভাড়া। আর এ বাড়তি ভাড়ার কারণে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় গণপরিবহন সংকটে পড়েছে মানুষ। এসময় গাড়ী সংকটে যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া। ফলে চরম বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। অনেকে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।

রোববার সকালে রাজধানীর দোলাইপাড়, শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, ধানমন্ডি এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

চিটাগাং রোড থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত চলে মেঘলা পরিবহনের বাস। এই বাসে উঠলে দেখা যায়, নির্ধারিত নতুন ভাড়ার চেয়ে পাঁচ টাকা করে বেশি নিচ্ছেন হেলপার। এ নিয়ে সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে হেলপারের কথা কাটাকাটিও হয়।

এসময় রাহাত ইসলাম নামক এক যাত্রী বলেন, সরকার তেলের দাম বাড়ানোয় বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে বাসগুলো। আমি মাতুয়াইল থেকে উঠলাম, বললো গুলিস্তান পর্যন্ত ভাড়া ৩০ টাকা যেখানে আগে ছিলো ২০ টাকা। কি আর করা বাধ্য হয়ে অনেক বেশি ভাড়া দিয়েই যেতে হচ্ছে। আমরা সাধারণ মানুষ কষ্টে পড়ে গেছি। এভাবে আর কত চলবে। বেতন পাই কত টাকা। কিন্তু প্রতিনিয়ত খরচ বাড়ছেই। বেতন তো সেভাবে বাড়ছে না।

পরিবহনের সংকটের বিষয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সামসুন্নাহার নামে একজন বলেন, কাজলা থেকে অন্য সময় সকাল সাড়ে ৮টার পর বের হই। কিন্তু বাস সংকটের কথা চিন্তা করে আজ ৮টায় বের হয়েছি। তবুও বাস পাচ্ছি না। একটা বাস আসলে সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ছে। আমি মহিলা মানুষ, আমার তো আর সেভাবে ওঠা সম্ভব না। সেজন্য এক ঘণ্টা দাঁড়িয়েই আছি।

সড়কে বাস সংকট কেন জানতে চাইলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঠিকানা পরিবহনের শ্রমিক বলেন, মূলত ভাড়া বাড়লে মানুষ তা মাইনা নিতে চায় না। এহন লস দিয়া তো আর গাড়ি চালাইতে পারুম না। সেজন্য ভাড়া বাড়লে দু-একদিন গাড়ি বন্ধ রাখে। তাইলে মানুষ কিছু মাইনা নেয়। নইলে ভাড়া নিয়া আমগো লগে মারামারি করে।

এদিকে আবার উল্টো চিত্র দেখা গেছে কিছু বাসে। তারা এখনও নিচ্ছে আগের ভাড়া। এমন একটি পরিবহনের হেলপার বলেন, আসলে আমরা কিছুদিন আগেও একবার তেলের দাম বাড়ায় ভাড়া বাড়াইছিলাম। তখন একটু বেশি বাড়ানো হইছিলো। এখন যে নতুন ভাড়া ঠিক করছে, আগের বাড়তি ভাড়ার সঙ্গে সেটা ঠিক আছে। তাই আমাদের ভাড়া বাড়ানো লাগে নাই। আমরা সেজন্য আগের ভাড়াই নিতাছি।

সোনালী/জেআর