কাঁচা মরিচের কেজি ২০০ টাকা
এম এম মামুন, মোহনপুর থেকে: রাজশাহীতে হঠাৎ করে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। অথচ এক সপ্তাহ আগেও এখানে মাত্র ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ। এক সপ্তাহের ব্যবধানে নগরীর লক্ষীপুর ও সাহেব বাজারে ২০০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করা হচ্ছে।
জানা গেছে, গতকাল মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট বাজারে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি করছেন খুচরা ব্যবসয়ীরা।
হঠাৎ কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় হকচকিয়ে গেছেন ক্রেতারা। নগরের লক্ষীপুর বাজারে বাজার করতে আসা মো. আমজাদ হোসেন জানান, গত সপ্তাহে তিনি ১২০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনেছেন। মাত্র চারদিনের ব্যবধানে মরিচের দাম ২০০ টাকায় উঠে যাওয়ায় রীতিমতো বিস্মিত তিনি।
নগরের সাহেববাজার থেকে ছাত্রাবাসের জন্য নিয়মিত বাজার করেন এক নারী। তিনি বলেন, তিন দিন আগে সাহেববাজার থেকে ১২০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনেছেন তিনি। তিন দিন পর কিনেছেন ২০০ টাকা কেজি দরে।
রাজশাহীর সবচেয়ে বড় মরিচের পাইকারি বাজার বসে পবা উপজেলার খড়খড়ি বাইপাসে। রাস্তার দুই পাশে আড়তদারেরা কাঁচা মরিচের স্তুপ সাজিয়ে রাখেন। ব্যবসায়ীরা জানান, সেখানে প্রতিদিন দেড় থেকে তিন হাজার মণ কাঁচা মরিচ কেনাবেচা হয়। সেখানকার মরিচ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে যায়। এই পাইকারি বাজারেও কাঁচা মরিচের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মরিচচাষি আফসার উদ্দিন জানান, কোরবানির ঈদের পর ২০-২৫ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করতে হয়েছে। এক সপ্তাহ ব্যবধানে মরিচের বাজারে আগুন। তবে এখন ভালো দাম পেলে ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে জানান তিনি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুর হোসেন জানান, বর্ষার সময় মরিচের ডাইব্যাক রোগ হয়। এতে গাছ বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে। স্বাভাবিক ভাবেই তখন মরিচের সরবরাহ কমে যায়। এ জন্য দামও বেড়ে যায়। প্রতিবছর এই সময় মরিচের দাম বেড়ে যায়। এই সংকট মোকাবিলায় তিনি কাঁচা মরিচ গুঁড়া করার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। যখন মরিচের কেজি ১০ টাকায় নামে, তখন বেশি পরিমাণে মরিচ কিনে গুঁড়া তৈরির পরিকল্পনা আছে তাঁর। এতে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন না। গুঁড়ার প্যাকেট বাজারে থাকলে হঠাৎ করে ব্যবসায়ীরাও মরিচের বাজারে আগুন লাগাতে পারবেন না।