ঢাকা | ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ - ৮:১৬ পূর্বাহ্ন

উচ্চস্বরে গান বাজাতে নিষেধ করায় পিটিয়ে হত্যা

  • আপডেট: Wednesday, August 3, 2022 - 10:26 pm

স্টাফ রিপোর্টার: উচ্চস্বরে গান বাজাতে নিষেধ করেছিলেন প্রতিবেশী মুকুল আলী (৪৫)। এনিয়ে কথা কাটাকাটিতে তাকে পিটিয়ে আহত করেন প্রতিবেশীরা। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সোমবার দিবাগত রাতে তিনি মারা যান।

এ ঘটনায় মুকুল আলীর ছেলে শামীম বাদি হয়ে মঙ্গলবার নগরীর শাহমখদুম থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয়েছে আটজনকে। এ ছাড়া আরও ৩-৪ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত মুকুল আলী নগরীর শাহমখদুম থানার হরিষাডাইং এলাকার আনসার আলীর ছেলে। ঘটনাটি হরিষাডাইং এলাকায়।

গ্রেপ্তার হরিষাডাইং এলাকার বকুল আলীর মেয়ে খাদিৃজা (১৯), একই এলাকার আসাদ আলীর ছেলে মিঠুন (৩০), বাদশা মিয়ার ছেলে মোমিন (২৫), জান মোহাম্মাদের ছেলে মো. সোহেল (৩২) ও কর্ণহার থানার মোল্লাডাইং এলাকার মৃত নজরুল ইসলামের ছেলে পলাশ (৪০)।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও নগরীর শাহমখদুম থানার উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়িতে উচ্চস্বরে সাউন্ডবক্সে গান বাজাচ্ছিলেন হরিষাডাইং এলাকার বকুলের ছেলে নাহিদ। এতে চরম অসুবিধা হয় প্রতিবেশী মুকুল আলীর অসুস্থ ও অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের।

বাধ্য হয়ে নাহিদের বাড়িতে গিয়ে উচ্চস্বরে গান বাজাতে নিষেধ করেন মুকুল আলী। নাহিদ তাৎক্ষণিক সাউন্ড বক্সের শব্দ কমিয়ে দিলেও মুকুল সেখান থেকে চলে আসার পর আবারও শব্দ বাড়িয়ে দেন।

মুকুল আলী নাহিদের বাড়িতে গিয়ে উচ্চস্বরে গান বাজাতে নিষেধ করেন। এনিয়ে নাহিদ, তার বাবা, মা ও বোনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় মুকুলের। পর্যায়ে লোহার রড দিয়ে মুকুলের মাথায় আঘাত করে নাহিদ ও তার পরিবারের সদস্যরা। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছুরিকাঘাত করে গুরুত্বর জখম করে।

মুকুলের চিৎকার শুনে তাকে রক্ষায় এগিয়ে যান ছেলে শাহীন আলম ও জামাই আলমগীর। মারপিট ও ছুরিকাঘাতে তারাও জখম হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে নেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মারা যান মুকুল। পরে এ নিয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন নিহতের স্বজনরা।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার রফিকুল আলম জানান, ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন আসামিরা। মামলা দায়েরের পর তাদের গ্রেপ্তার অভিযানে নামে পুলিশ। সোমবার থেকে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।