স্বরূপে ফিরেছে বর্ষা
স্টাফ রিপোর্টার: টানা তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল রাজশাহীর ওপর দিয়ে। অবশেষে গরমের সেই প্রতাপ দমিয়ে পদ্মাপাড়ের রাজশাহীতে স্বরূপে ফিরেছে বর্ষা। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ায় বর্ষার পরশ পেয়েছে উত্তর জনপদের মানুষগুলো।
তাপপ্রবাহের মধ্যে রোপা আমন নিয়ে সেচের জন্য গলা শুকিয়ে যাওয়া কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসি। কৃষি বিভাগ বলছে- এই বৃষ্টি ফসলের জন্য আশীর্বাদ। গতকাল সোমবার সকালটাই শুরু হয় ঝুমবৃষ্টি দিয়ে। শ্রাবণের ১৭তম দিনে বর্ষার বারিধারায় ভিজেছে রাজশাহী। তামাটে বর্ণ ধারণ করা বরেন্দ্রর আঁটো হয়ে যাওয়া লাল মাটি সিক্ত হয়েছে। এতে শহুরে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ছেদ ঘটলেও সেচ নিয়ে চিন্তায় থাকা কৃষকরা খুশি। সবাই নেমেছেন জমিতে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক বলেন, এদিন রাজশাহীতে বৃষ্টিপাত হয়েয়েছে ৮৯ দশমিক দুই মিলিমিটার। যা এবারের বর্ষাকালে সর্বোচ্চ। এর আগে গত রোববার রাত আটটায় হয়েছিল বৃষ্টি। সে সময় রেকর্ড করা হয় ২৪ দশমিক ছয় মিলিমিটার। সোমবার সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটে শুরু হয় বৃষ্টি। শেষ হয় দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে।
এর আগে রাজশাহীতে বর্ষাকালে কাক্সিক্ষত বৃষ্টির দেখা মিলেনি। রাজশাহীতে বর্ষাকালজুড়ে গড়ে এবার তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার কমে এসেছিল তাপমাত্রা। রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বনিম্ন ছিল ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এমন বৃষ্টিপাত কৃষির জন্য উপকারী বলে জানাচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা। রোপা আমনের জন্য এই বৃষ্টি উপকারী। আর কৃষকরা এখন ধান রোপণ করছেন তার জন্যও উপকারী। বৃষ্টির জন্য জমিতে আর বাড়তি সেচ লাগবে না। প্রাকৃতিকভাবে তাদের জমিতে সেচের কাজ হয়ে যাবে।
এছাড়া রাজশাহী ও বরেন্দ্র অঞ্চলের উঁচু মাটিতে সবজি চাষের জন্য যেই সেচ লাগছিল তারও আর প্রয়োজন হবে না। সব মিলিয়ে জমিতে থাকা সবজি, রোপা-আমনের বীজতলা তৈরি ও আমন রোপণের জন্যে এই বৃষ্টি আশীর্বাদ বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।