সিরাজগঞ্জের চাষিরা পাট জাগ ও ধোয়ায় ব্যস্ত
রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ থেকে: সিরাজগঞ্জে পাট কাটা, জাগ দেওয়া, পাট ধোয়া এবং শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এ বছর পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় সময়মতো পাট কেটে বিভিন্ন জলাশয়ে জাগ দিতে না পারলেও কয়েকদিন আগে ভারি বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন জলাশয়ে পানি জমে। সেই পানিতেই এখন পাট জাগ ও ধোয়ার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।
সরেজমিনে জানা গেছে, পাট চাষের শুরুতে বৃষ্টিপাত কম থাকায় জেলার অনেক স্থানে চাষ কিছুটা দেরিতে শুরু হলেও ফলন ভালো হয়েছে। এতে কৃষকরাও খুশি। জেলার বিভিন্ন এলাকায় চাষিরা স্থানভেদে পাট কেটে নদী, নালা, খাল, বিল ও ডোবায় জাগ দেওয়া, পাট ধোয়া এবং হাটে-বাজারে বিক্রিসহ সব মিলিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। আবার কোথাও কোথাও দেখা গেছে, নারী-পুরুষের অংশ গ্রহণে পাট ছাড়ানোর কাজ চলছে।
কামারখন্দ উপজেলার রসুলপুর গ্রামের পাট চাষি আব্দুল জলিল বলেন, এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করতে খরচ হয়েছে সাড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। এরমধ্যে জমি চাষ, বীজের দাম, বীজ বপন, সার, কীটনাশক ও পরিচর্যার খরচ থাকে। আর পাট কাটা ও ধোয়ায় খরচ পড়ছে বিঘায় ৩-৪ হাজার টাকা। প্রতিমন পাট বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ৫শ’ টাকায়। এ বছর পাটের দাম ভালো থাকায় চাষিরা খুশি।
হুড়াসাগর নদীর পানিতে পাট ধোয়ার কাজে ব্যস্ত খালেক বলেন, পাটের আঁশ ছাড়ানো ও ধোয়ার জন্য এক বেলা খাবারসহ দৈনিক ৪০০ টাকা পাই।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বাবুল কুমার সূত্রধর বলেন, ৯ উপজেলায় ১৬ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও বন্যার কারণে অর্জিত হয়েছে ১২ হাজার ৩৬৪ হেক্টর জমিতে। তিনি আরও বলেন, যমুনা তীরবর্তী ৫ টি উপজেলাসহ চলনবিল অধ্যুষিতসহ তাড়াশ ও অন্যান্য উপজেলায় পাট জাগ দেওয়ায় কোনো সমস্যা হয়নি। কিছু কিছু এলাকায় পানির অভাবে কিছু সমস্যা হলেও রিবন রেটিং পদ্ধতিতে পাট পঁচানো হচ্ছে। এই পদ্ধতিতে কৃষকদের অর্থ সাশ্রয় হচ্ছে।