ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ১০:২৫ পূর্বাহ্ন

ম্যাচ জিতে সমতায় বাংলাদেশ

  • আপডেট: Sunday, July 31, 2022 - 11:37 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের দেয়া ১৩৬ রানের লক্ষ্য ১৫ বল হাতে রেখেই টপকে গেছে টিম টাইগার। ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে বাংলাদেশ। এদিন ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিংয়ে মুন্সিয়ানার পরিচয় দেয় বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা।

হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে টস হেরে বোলিং করতে নামে নুরুল হাসান সোহানের দল। রোববার ম্যাচ শুরুর প্রথম বলেই আঘাত হানে মোসাদ্দেক হোসেন। তার বলে গোল্ডেন ডাকে ফিরে যান রেগিস চাকাভা। প্রথম ওভারের শেষ বলে সৈকত তুলে নেন ওয়েসলে মেধভেরের উইকেট।

নিজের বাকি ৩ ওভারে আরও ৩ উইকেট তুলে নেন এই স্পিনার। ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ২০ রান খরচায় ৫ উইকেট পেয়েছেন তিনি।

এরপর জিম্বাবুয়ের হাল ধরেন সিকান্দার রাজা। প্রথম ম্যাচে ৬৫ রানের ম্যাচ জয়ী ইনিংস খেলা মিডল অর্ডার ব্যাটার এই ম্যাচে করেন ৬২ রান।

রাজার ৫৩ বলে চারটি চার ও দুই ছক্কার ইনিংসের সঙ্গে ৮০ রানের জুটি দেন রায়ান বার্ল। তিনি খেলেন ৩২ রানের ইনিংস। তাদের ব্যাটে ভর করে ৮ উইকেটে ১৩৪ রানের লড়াই করার মতো পুঁজি পায় স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে।

১৩৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাসের ঝরো ব্যাটিং দুর্দান্ত শুরু এনে দেয় বাংলাদেশকে। ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ৭ রানে ফিরলেও ওপেনিং জুটিতে ৩৭ রান পায় বাংলাদেশ। সাবলীল ব্যাটিং করে যাওয়া লিটন ফিরে যাওয়ার আগে ৩৩ বলে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেন। ছয়টি চার ও দুটি ছক্কা মারেন তিনি। পরের ওভারেই এনামুল হক ফিরে যান ১৫ বলে ১৬ রান করে।

বাকি পথটা পাড়ি দেন চারে নামা আফিফ হোসেন ও পাঁচে নামা নাজমুল শান্ত। আফিফ ২৮ বলে ৩০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। একটি চার ও একটি ছক্কা মারেন তিনি। শান্তর ব্যাট থেকে আসে ২১ বলে ১৯ রান। এক চারে ধীরে খেলে দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়ান তিনি।

মোসাদ্দেকের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সঙ্গে ভালো করেছেন অন্য স্পিনার শেখ মাহেদিও। তিনি ৩ ওভারে মাত্র ১০ রান খরচ করেন। মুস্তাফিজ ও হাসান মাহমুদ ৪ ওভার করে হাত ঘুরিয়ে একটি করে উইকেট নেন। দু’জন যথাক্রমে ৩০ ও ২৬ রান দেন। ওই তুলনায় কিছুটা খরুচে ছিলেন শরিফুল। তিনি ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন। জিম্বাবুয়ের হয়ে এনগ্রাভা, রাজা ও উইলিয়ামস একটি করে উইকেট নেন।

জিম্বাবুইয়ান টপঅর্ডারের ৬ ব্যাটারের মধ্যে ৫ জনকেই সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন মোসাদ্দেক। একটা সময় ৩১ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল স্বাগতিকরা। সব কটি উইকেটই নেন মোসাদ্দেক।

এমন দুর্দান্ত বোলিংয়ের সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কারটি উঠেছে এই অফস্পিনিং অলরাউন্ডারের হাতেই।