ঢাকা | ডিসেম্বর ২১, ২০২৪ - ৫:৩৫ অপরাহ্ন

বাঘ সংরক্ষণে সরকার বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে: বনমন্ত্রী

  • আপডেট: Friday, July 29, 2022 - 10:35 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন, সুন্দরবনের বাঘ সংরক্ষণের জন্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় তিন বছর মেয়াদী ‘সুন্দরবন বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করছে। এ প্রকল্পের আওতায় সুন্দরবনে তৃতীয় বারের মতো ক্যামেরা ট্র্যাপিংয়ের মাধ্যমে বাঘ জরিপ, হরিণ ও শূকরের সংখ্যা গণনা, সুন্দরবনের লোকালয় সংলগ্ন ৬০ কিলোমিটার এলাকায় নাইলনের বেষ্টনী তৈরিসহ বাঘ সংরক্ষণ ও গবেষণা সংক্রান্ত বিভিন্ন কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হতে যাচ্ছে।

শুক্রবার বিশ্ব বাঘ দিবস উপলক্ষে বন অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব তথ্য জানান মন্ত্রী। সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি।

বাঘের আবাসস্থল সুন্দরবন সংরক্ষণে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন বনমন্ত্রী।

প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন প্রমুখ।

বনমন্ত্রী বলেছেন, ‘২০১০ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে বাঘসমৃদ্ধ ১৩টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সম্মেলনে বাঘ সংরক্ষণ কার্যক্রমকে বেগবান করার জন্য তৈরি ঘোষণাপত্রের আলোকে প্রতি বছর ২৯ জুলাই বিশ্ব বাঘ দিবস পালন করা হচ্ছে। এ বছর বিশ্ব বাঘ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—বাঘ আমাদের অহংকার, রক্ষার দায়িত্ব সবার। এ প্রতিপাদ্য সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি।’

তিনি বলেন, ‘সর্বশেষ ২০১৭-২০১৮ সালে পরিচালিত জরিপের তথ্য অনুযায়ী আমাদের সুন্দরবন অংশে আছে প্রায় ১১৪টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার। ২০২০-২০২১ সালের জরিপ অনুসারে ভারতের সুন্দরবন অংশে আছে প্রায় ৯৬টি বাঘ। আইইউসিএন গ্লোবাল স্পিশিজ রেড লিস্ট-২০২০ অনুসারে, বিশ্বে বাঘ আছে ৪ হাজার ৪৮৫টি। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় হলো—সারাবিশ্বে বন উজাড় ও অবৈধ শিকারের ফলে বেঙ্গল টাইগার বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইইউসিএন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ রাকিবুল আমিন এবং প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু। বিষয়ভিত্তিক প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম মনিরুল এইচ খান এবং বন অধিদপ্তরের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে।