ঢাকা | জুলাই ২৭, ২০২৪ - ৬:৩৪ পূর্বাহ্ন

বন্ধ কারখানা খুলতে বাদশার লড়াইকে শক্তিশালী করার প্রত্যয়

  • আপডেট: Friday, July 29, 2022 - 11:25 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে বন্ধ হয়ে যাওয়া কল-কারখানা আধুনিকায়ন করে পুণরায় রাষ্ট্রীয়ভাবে চালু করতে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা যে লড়াই-সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন সেটিকে সাংগঠনিকভাবে আরো শক্তিশালী করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন।

শুক্রবার আয়োজিত এক সভা থেকে এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন সংগঠনটির নেতারা। শহরের সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টের দলীয় কার্যালয়ে শ্রমিক ফেডারেশনের রাজশাহী জেলা কমিটির উদ্যোগে এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় বক্তারা বলেন, রাজশাহীতে শিল্প-কারখানা ধ্বংস হয়ে যাওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ অর্থনৈতিকভাবে ক্রমাগত নিঃশ্ব হচ্ছে। শ্রকিদের কাজ করার জায়গা কমে আসছে। রাজশাহীর খেটে খাওয়া মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষায় বন্ধ থাকা সকল কল-কারখানা চালু করার বিকল্প নেই।

বক্তারা বলেন, রাজশাহীতে উন্নয়নের অগ্রযাত্রার সহযোগী হিসেবে চারটি শিল্প প্রতিষ্ঠিত ছিলো। সেগুলো হলো- পাট শিল্প, চিনি শিল্প, টেক্সটাইল মিল ও রেশম শিল্প। পর্যায়ক্রমে সবগুলোই ধ্বংস করে দেয়া হয়। আমাদের নেতা ফজলে হোসেন বাদশা রেশম শিল্পটাকে চালু করার চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যে রেশম কারখানার ১৯টি লুম চালু করা হয়েছে। শ্রমিক নেতারা বলেন, এ অঞ্চলে পাটকল, চিনিকল বন্ধ হলে শুধুমাত্র শ্রমিকেরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে তা নয়, আখচাষীরাও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শ্রমিক ফেডারেশন শুধু রাজশাহীতে নয়, সারা দেশে বন্ধ করে দেওয়া কারখানা চালু করার বিষয়ে আন্দোলন চালাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রধান ভূমিকা রাখছেন ফজলে হোসেন বাদশা। আমরা শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধ করে সাংগঠনিকভাবে তার সংগ্রামকে আরো এগিয়ে নিতে চাই।

জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের রাজশাহী জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিরাজুর রহমান খানের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামানিক দেবু। আরও বক্তব্য রাখেন, মহানগর সম্পাদকমণ্ডলির সদস্য আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু, শ্রমিক ফেডারেশনের জেলার সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, শ্রমিক নেতা ফয়সাল আহমেদ রাতুল, আবুল কালাম আজাদ, সীতানাথ বণিক, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল করিম অপু প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন শ্রমিক ফেডারেশনের রাজশাহী জেলার সাধারণ সম্পাদক অসিত পাল।