সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন রুট চালু হোক
ভারত আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র। নানা কারণে প্রতিবেশি এই দেশে এখনকার মানুষের যাতায়াতও বেশি। দুদেশের স্বার্থেই যোগাযোগ ও যাতায়াত ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হয়েছে বেশ দ্রুতই। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদসহ উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থলবন্দর চালু হওয়ায় সহজে ও সাশ্রয়ে ভারতে যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যোগাযোগের সুবিধার জন্য সোনামসজিদ স্থলবন্দর অন্যতম। অথচ এখন এই রুটেই পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভারতে যাওয়া বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন এই অঞ্চলের ভারতগমনেচ্ছুরা।
করোনার কারণে দুই বছর চার মাস আগে বন্ধ হয়েছিল সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন রুট। পরিস্থিতির পরিবর্তনে সব ধরনের ভিসা ও বেশ কয়েকটি ইমিগ্রেশন রুট চালু হলেও বন্ধ রয়েছে সোনামসজিদসহ দিনাজপুরের হিলি ও লালমনিরহাটের বুড়িমারি ইমিগ্রেশন রুট। ফলে এই অঞ্চলের মানুষকে দীর্ঘপথ ঘুরে ভারতে যেতে হচ্ছে অতিরিক্ত অর্থ, সময় ও দুর্ভোগ মেনে নিয়ে। সোনামসজিদ দিয়ে ভারত থেকে পণ্য আমদানি চলমান থাকলেও পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে অজানা কারণে। কিন্তু ভারত থেকে পাসপোর্টধারীরা ঠিকই দেশে আসছেন।
এর ফলে স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। যেহেতু রাজশাহী থেকে রওনা দিয়ে দুপুরের আগেই ভারতের মালদহে গিয়ে ব্যবসার কাজ করে ফিরে আসা যায়। আর মালদহের সাথে ভারতের যে কোনো শহরের সড়ক ও রেল যোগাযোগও সহজ। তাই ব্যবসায়ীরা সরাসরি ভারতে গিয়ে পণ্যসামগ্রী দেখে আমদানি করতে পারতেন । এখন সহজে যাওয়া বন্ধ হওয়ায় সেখান থেকে ঠিক মতো পণ্য আনা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ জন্য তাদের ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে, লোকসানও গুণতে হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতির পর সব কিছু স্বাভাবিক হলেও কেন সোনামসজিদের মতো দেশের স্থলবন্দর অন্যতম চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশী পাসপোর্টধারীদের ভারতে যাওয়া বন্ধ তার কারণ বোধগ্রম্য নয়। এ প্রসঙ্গে রাজশাহী রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি সোনামসজিদ ইমিগ্রেশন চালু করার পূর্ণ প্রস্তুতি থাকার কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে রাজশাহ্স্থী ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বিষয়টি ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বিষয় বলে জানিয়েছেন। নির্দেশ পেলে ভারতে যাবার ভিসা দিতে কোনো সমস্যা নেই। ভারত-বাংলাদেশের মানুষের সহজ পথে যাতায়াতে তারাও আগ্রহী।
এ অবস্থায় সোনামসজিদসহ উত্তরাঞ্চলের ইমিগ্রেশন রুটগুলো চালু হওয়াই কাম্য।