ঢাকা | ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪ - ১০:৫৮ অপরাহ্ন

জেলা থেকে জেলায় মোটরসাইকেল স্থায়ীভাবে বন্ধ চায় টাস্কফোর্স

  • আপডেট: Wednesday, July 27, 2022 - 9:26 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: এক জেলা থেকে আরেক জেলায় মোটরসাইকেল চলাচল স্থায়ীভাবে বন্ধ চায় সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়ন সংক্রান্ত কমিটির ১১১ দফা সুপারিশমালা বাস্তবায়নের জন্য গঠিত টাস্কফোর্স।

বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সভা শেষে টাস্কফোর্সের সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান সাংবাদিকদের এ কথা জানান। সভায় সভাপতিত্ব করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

শাজাহান খান বলেন, মোটরসাইকেল নিয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, দূরপাল্লায়, আন্তজেলা (এক জেলা থেকে আরেক জেলায়) রাইড শেয়ারিং হবে না। আজকের সভাতেও এটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন, ৪০ শতাংশ দুর্ঘটনা হয় মোটরসাইকেলে। সুতরাং সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

মোটরসাইকেলের বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত কি স্থায়ীভাবে নেওয়া হয়েছে, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শাজাহান খান বলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এখন পর্যন্ত তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত আছে।

গত ঈদের ছুটিতে ঘরমুখী মানুষের যাতায়াতের প্রাক্কালে আন্তজেলায় মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছিল সরকার। তবে এখনো এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার হয়নি।

টাস্কফোর্সের আজকের সভায় আরও বেশ কিছু সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। চালকেরা মাদকাসক্ত কি না, তা পরীক্ষা (ডোপ টেস্ট) করে লাইসেন্স নবায়ন বা নতুন লাইসেন্স দেয়ার সিদ্ধান্ত আছে। কিন্তু দ্রুততার সঙ্গে এটি করা যাচ্ছে না। কারণ, এই পরীক্ষার জন্য মাত্র কয়েকটি কেন্দ্র আছে। এ জন্য টাস্কফোর্স এসব কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়ানো এবং পরীক্ষা ফি ৯০০ টাকা থেকে কমাতে বলেছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) শূন্য পদগুলো পাঁচ মাসের মধ্যে পূরণ করতে নির্দেশ দিয়েছে টাস্কফোর্স। বর্তমানে বিআরটিএর ৯৩১ জন জনবল কাঠামো রয়েছে। এর মধ্যে ১২২টি পদ শূন্য। এ ছাড়া হাইওয়ে পুলিশ ও ট্রাফিক পুলিশের সংখ্যা বাড়ানো, মানসম্মত হেলমেট নিশ্চিত করার জন্য বিএসটিআইয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

শাজাহান খান বলেন, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা টোলের নামে সড়ক ও মহাসড়কেও টাকা নিচ্ছে। অথচ ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে বলা আছে, সড়ক-মহাসড়ক থেকে চাঁদা আদায় করা যাবে না। শুধু টার্মিনাল থেকে টোল নিতে পারে। এ জন্য পুনরায় পত্র দিয়ে অবিলম্বে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার নেওয়া এই চাঁদা আদায় বন্ধ করতে স্থানীয় সরকার বিভাগকে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া বিআরটিএকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে অবৈধ ড্রাইভিং স্কুলগুলো বন্ধ করতে। একই সঙ্গে যাচাই করে যাদের অনুমোদন দেয়া যায়, তা দেয়া এবং শর্ত পূরণ সাপেক্ষে আরও কিছু ড্রাইভিং স্কুল অনুমোদন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এই টাস্কফোর্স।