পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই
অনলাইন ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পুলিশ সদস্যদের সক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে পুলিশ স্টাফ কলেজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে বাংলাদেশ পুলিশ যে ভূমিকা রেখেছে তা দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের (পিএসসি) ১৮তম বোর্ড সভায় তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, আমরা পুলিশকে আধুনিক করতে চাই, পুলিশের সক্ষমতা বাড়াতে চাই। কারণ পুলিশকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। তাদেরকে সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত না করতে পারলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
পুলিশের প্রশিক্ষণের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ওপর গুরুত্বারোপ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পুলিশকে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত করতে হবে।
সভায় জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন বলেন, পুলিশের প্রশিক্ষণের গুণগত উৎকর্ষ সাধনে সরকার নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ প্রশংসনীয় অবদান রাখছে।
পিএসসির ১৮তম বোর্ড সভায় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেন, পুলিশ স্টাফ কলেজ শুধু পুলিশ বাহিনীর প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রেই নয়, জাতীয় পরিপ্রেক্ষিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর ও বোর্ড সচিব খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সক্ষমতা বাড়াতে নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, ১৮তম বোর্ড সভায় বঙ্গবন্ধু সেন্টার ফর পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্থাপন, পুলিশ স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের আইন সংশোধন এবং বিধি ও প্রবিধান প্রণয়ন, জনবল বৃদ্ধিকরণ, বৈদেশিক প্রশিক্ষণ, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এমওইউ স্বাক্ষরসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।