এবার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যয় কমাতে বললো ইউজিসি
অনলাইন ডেস্ক: সরকারের ব্যয় সংকোচন নীতি অনুসরণ করে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নতুন অর্থবছরে বাজেটে ব্যয় ও বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনার (এপিপি) করার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
এছাড়াও বার্ষিক ক্রয় পরিকল্পনা আগামী ৩১ জুলাই এপিএ সফটওয়্যারে আপলোড করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘বাজেট বাস্তবায়ন পরিকল্পনা’ শীর্ষক এক সভায় এ নির্দেশনা দেয়া হয়।
ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের সদস্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে সভায় কমিশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. শাহ আলম, বাজেট শাখার উপ-পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের রেজিস্ট্রার, হিসাব বিভাগীয় প্রধান ও প্রকৌশল দপ্তর প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন।
সভায় প্রফেসর আবু তাহের বলেন, ব্যয় সংকোচনের অংশ হিসেবে সরকার ২০২২-২৩ অর্থ বছরের বাজেট বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্টদের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকারি এসব নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানান।
সভায় জানানো হয়, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে নতুন ও প্রতিস্থাপক হিসেবে সব ধরনের যানবাহন ক্রয় বন্ধ থাকবে। শুধুমাত্র জরুরি ও অপরিহার্য ক্ষেত্র বিবেচনায় আপ্যায়ন ব্যয়, অন্যান্য মনোহরী, কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক, বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদি, আসবাবপত্র খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৫০% ব্যয় করা যাবে। দেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৫০% ব্যয় করা যাবে। পেট্রোল, ওয়েল এবং লুব্রিকেন্ট ও গ্যাস ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোচ্চ ৮০% ব্যয় করা যাবে। বিদ্যুৎ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থের ২৫% সাশ্রয় করতে হবে।
এছাড়া উন্নয়ন বাজেট ও নিজস্ব তহবিলের আওতায় বাস্তবায়নাধীন সব প্রকার প্রকল্প, কর্মসূচি ও স্কিমসমূহের ক্ষেত্রে সম্মানী খাতে বরাদ্দ থেকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি (পিআইসি), প্রকল্প স্টিয়ারিং কমিটি (পিএসসি), বিভাগীয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (ডিপিইসি), বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (এসপিইসি) এবং বিভাগীয় বিশেষ প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (ডিএসপিইসি) সভায় সম্মানী বাবদ কোন অর্থ ব্যয় করা যাবে না। সভা, সেমিনার, ওয়ার্কশপ ও প্রশিক্ষণ যথাসম্ভব ভার্চুয়ালি করার জন্য চেষ্টা করতে হবে।