ঢাকা | নভেম্বর ২০, ২০২৪ - ৭:৩৪ পূর্বাহ্ন

রাবিতে ভর্তিচ্ছুদের সমস্যা দেখার কেউ নেই

  • আপডেট: Friday, July 22, 2022 - 11:19 pm

দেশের দ্বিতীয় ঐতিহ্যবাহী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি)। এখানে ভর্তি হতে প্রতি বছরই দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে বিপুল সংখ্যক ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক রাজশাহী আসেন। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে আগামী ২৫ জুলাই। ২৫ থেকে ২৭ জুলাই প্রতিদিন চার শিফটে ১৮ হাজার করে মোট ৭২ হাজার ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ভর্তিযুদ্ধে অংশ নেবে। এ বছর ৪ হাজার ২০টি আসনের বিপরীতে মোট আবেদন জমা পড়ে ১ লাখ ৭৮ হাজার ২৮৬ টি।

শিক্ষানগরী রাজশাহী রাবিতে ভর্তিচ্ছু ও তাদের অভিভাবকদের পদচারণায় মুখর হলেও তাদের বিড়ম্বনার শেষ নেই। তাদের আবাসন সমস্যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বা অন্য কারও মাথাব্যথা দেখা যায় না। বিপুল সংখ্যক ভর্তিচ্ছুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে গাদাগাদি করে থাকতে হয়। হলের রিডিংরুম, টেলিভিশন রুম, পেপার রুম, ডায়নিংরুম, গ্রন্থাগার চত্বর, মসজিদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের ছাত্রাবাসগুলোতেও ভিড় জমে ভর্তিচ্ছুদের। প্রয়োজনের তুলনায় থাকার সুযোগ অপ্রতুল হওয়ায় অনেক আগ্রহী ভর্তিচ্ছু পরীক্ষা দিতেই আসেন না বলে জানা গেছে। সুযোগ বুঝে ছাত্রাবাস মালিকরা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইচ্ছামতো টাকা আদায় করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। এখানে স্থান সংকুলান না হওয়ায় অনেকেই ছুটে যান নগরীর আবাসিক হোটেলে। কিন্তু সেখানেও সিট পাওয়া যায় না।

এবার নগরীর আবাসিক হোটেলগুলোতে এক মাস আগে থেকেই হাউজফুল অবস্থা। ফলে অভিভাবকেরা চরম বিপাকে পড়েছেন। এখানকার ৫০টি আবাসিক হোটেলে থাকার সুযোগ আছে এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার জনের। রাবি ক্যাম্পাস ও নগরী মিলে ৭২ হাজার ভর্তিচ্ছু ও তাদের অভিভাবকদের থাকার ব্যবস্থা না থাকায় কি ধরনের সমস্যায় পড়তে হয় সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এ সময় যানবাহনের ভাড়া ও হোটেলের খাবারের দামেও কিছু ঠিক থাকে না। প্রতি বছরই এই অব্যবস্থার কথা আলোচিত হলেও সমাধানে এগিয়ে আসে না কেউই।

বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাধ্যমতো চেষ্টা করলেও তা যে সন্তোষজনক নয় তা বলাই বাহুল্য। এ ক্ষেত্রে নগর কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সামাজিক নেতৃত্বের চোখ বন্ধ করে রাখা শিক্ষানগরীর জন্য দুঃখজনক । ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতি পরিবর্তনের বিষয়টাও বিবেচনায় নেয়া যায়।