ঢাকা | জুন ১০, ২০২৫ - ৮:১৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

পর্যাপ্ত ভোজ্য তেল দেয়ার আশ্বাস ইন্দোনেশিয়ার

  • আপডেট: Friday, July 22, 2022 - 9:55 pm

 

অনলাইন ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়া সরকার বাংলাদেশের প্রয়োজন অনুযায়ী ‘যথেষ্ট’পরিমাণ ভোজ্য তেল পাঠানোর আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেইন যুদ্ধ এবং এর জেরে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার ফলে খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তায় সমস্যা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন দেশে খাদ্যের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। আমাদের দেশেও মাঝখানে ভোজ্য তেলের দাম বাড়ে। আমরা যে সমস্ত দেশ থেকে ভোজ্যতেল আনি, তার মধ্যে ইন্দোনেশিয়া অন্যতম। ইন্দোনেশিয়ায় গিয়েছিলাম, তারা আমাদেরকে এখন যথেষ্ট তেল দেবে। সুতরাং ঝামেলা হবে না।

যুদ্ধের মধ্যে রাশিয়ার ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞার কারণে ‘দূরের দেশ’ হয়েও বাংলাদেশ বিপাকে আছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার ফলে আমরা খুব ঝামেলায় আছি। সব দেশ, যারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন তারাও কিন্তু ঝামেলায় আছেন।

বিদ্যুতের ‘অভাব না থাকলেও’ আগাম সতর্কতা হিসাবে সরকার সাশ্রয়ের দিকে গেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আগামীতে যাতে অসুবিধা না হয়। আমাদের সক্ষমতা আছে, তবুও আমরা ইচ্ছা করে নিজেদের সংযম করার জন্য একটা উদ্যোগ নিয়েছি। এই উদ্যোগটা আমাদের সব সদস্যদেরও নেয়া উচিত। আমাদের সাশ্রয়ী হওয়া দরকার। কারণ আগামীতে কতদিন যুদ্ধ হবে, এর ফলে কী অবস্থা হবে- সেটা আমরা জানি না।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরুর পর ভোজ্যতেলের দর বিশ্ববাজারে চড়তে থাকায় বাংলাদেশেও বাজার অস্থিতিশীল হয়।

এর মধ্যে এপ্রিলের শেষে নিজেদের চাহিদা মেটানোর জন্য অপরিশোধিত পাম অয়েল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় ইন্দোনেশিয়া। বাংলাদেশে আমদানি করা পাম অয়েলের ৯০ শতাংশই আসে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটি থেকে।

অবশ্য কৃষকদের ক্ষতির কথা বিবেচনা করে এক মাস পরে রপ্তানির ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ইন্দোনেশিয়া সরকার।

বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) হিসাবে, ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশে ১৩ লাখ ৫৫ হাজার টন পাম তেল এবং ৭ লাখ ৮০ হাজার টন সয়াবিন আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে পাম অয়েলের ৯০ শতাংশই আসে ইন্দোনেশিয়া থেকে, আর বাকিটা মালয়েশিয়া থেকে আসে।

আন্তর্জাতিক বাজারে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার মধ্যে ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে চলতি বছর ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ জুন পর্যন্ত তিন দফায় লিটার প্রতি ৫৫ টাকা বাড়িয়েছিল সরকার।

এখন আন্তর্জাতিক বাজারে দাম পড়তির দিকে থাকায় সরকারের সাথে আলোচনার পর বৃহস্পতিবার মিল মালিকরা জানান, আপাতত দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা করে কমিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার থেকে কার্যকর হওয়া ওই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৬৬ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৮৫ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৯১০ টাকা এবং প্রতি লিটার পাম তেল ১৫২ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা।

 

 

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS