শ্রাবণে অনাবৃষ্টিতে পুড়ছে পোরশার আমনের মাঠ
![](https://sonalisangbad.com/wp-content/uploads/2022/07/PORSHA-PHOTO-ONABADI-JOMI-BORSA-217222.jpg)
পোরশা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: আষাঢ় শেষ। শ্রাবণেও বৃষ্টি নেই। অনাবৃষ্টিতে পুড়ছে নওগাঁর পোরশা উপজেলার আমনের মাঠ। বৃষ্টি না হওয়ার কারনে আমন ক্ষেত হুমকির মুখে পড়তে পারে। আর বৃষ্টি না হওয়ায় বরেন্দ্র অঞ্চল খ্যাত এই উপজেলার আবাদি জমির গুলি ধু-ধু সাদা হয়ে পড়ে রয়েছে। পুকুরের সামান্য পানি সেচের মাধ্যমে বীজতলায় বীজ বপন করলেও চারা গুলি হলুদ বর্ণের হয়ে যাচ্ছে। ফলে আমন উৎপাদনের লক্ষমাত্রা ব্যহত হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
উপজেলার ছাওড়, তেঁতুলিয়া, গাঙ্গুরিয়া, নিতপুর ও ঘটনগর ইউনিয়নের অনেক গ্রামের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে উল্লেখিত চিত্র। এছাড়াও বৃষ্টির অভাবে অনাবাদি রয়েছে অনেক জমি। এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য মশিদপুর ও ঘাটনগর এলাকার কৃষকগণ ডিপটিউবয়েল থেকে সেচ কার্যক্রম চালিয়ে ধান রোপন করছেন। এই এলাকার কৃষকেরা প্রতি বিঘা জমিতে ৫০০-৬০০ টাকায় পানি সেচের মাধ্যমে ধান লাগাতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
এছাড়া উপজেলার বাঁকইল গ্রামের কৃষক আতাউর রহমান, খাড়িপাহাড় গ্রামের কৃষক আব্বাস আলী, জালুয়া গ্রামের জসিমউদ্দিন, মহাডাংগা গ্রামের লিটন, কালিনগরের দেলোয়ার ও বাঙ্গাবড়ি গ্রামের মোখলেছুর রহমান জানান, তাদের এলাকায় গভির নলকূপ না থাকায় বৃষ্টির পানি ও সেচ সংকটের কারনে আমনের ক্ষেত ফেটে যাচ্ছে। আষাঢ় শেষ হয়ে গেলেও জমিতে তারা ধান লাগাতে পারেনি। তাছাড়াও পানির অভাবে রোপিত চারা হলুদভাব হয়ে পড়ছে বলে তারা জানান।
তারা জানান, আমন চাষের ক্ষেত্রে বৃষ্টির পানির জন্যই অপেক্ষা করতে হয় তাদের। বৃষ্টি না হয়ে এভাবে চলতে থাকলে বৃষ্টির অভাবে বরেন্দ্র এলাকার কৃষকেরা ধান লাগাতে পারবে না। ফলে উপজেলায় ধান উৎপাদনের লক্ষ মাত্রা অর্জন নাও হতে পারে বলে তারা আশংকা প্রকাশ করেন।
এবিষয়ে বিএমডিএ পোরশা জোন সংশ্লিষ্টরা জানান, অনাবৃষ্টির কারনে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে গভির নলকূপ গুলো পর্যায়ক্রমে চালু করা হচ্ছে। এগুলো দিয়ে চাষিরা তাদের কিছু জমি চাষাবাদ শুরু করেছে। বাঁকি জমিও চাষাবাদ হবে বলে তারা জানান।
অপরদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার সরকার জানান, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে। তবে প্রাকৃতিক কারনে অনাবৃষ্টি হলে লক্ষমাত্রা অর্জিত নাও হতে পারে। তবে বৃষ্টি নির্ভর এলাকায় বৃষ্টি না হলে অনাবৃষ্টির কারনে চাষবাদ কিছুটা হলেও ব্যহত হওয়ার আশংকা প্রকাশ করেন তিনি।