বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান
![](https://sonalisangbad.com/wp-content/uploads/2022/02/014616kalerkantho-1-2021-10-31-03.jpg)
অনলাইন ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও খাদ্য সংকট শুরু হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যেই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের প্রতিটি মানুষকে যার যার জায়গা থেকে এ ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। কেননা উন্নত বিশ্বও এ পরিস্থিতিতে হিমশিম খাচ্ছে। তাই সবাইকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। খাদ্যের উৎপাদন বাড়াতে হবে। সবাই মিলে একযোগে কাজ করলে আমরা সংকট এড়িয়ে এগিয়ে যাব।
বৃহস্পতিবার সকালে ভূমিহীন-গৃহহীন মানুষের কাছে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। রাষ্ট্রীয় বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান। বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বেড়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খাদ্যের জন্য হাহাকার। এমনকি উন্নত দেশগুলোতেও হাহাকার দেখা যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি ফেলে রাখা যাবে না। খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, ফুয়েল ও পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। সংকট আসার আগেই সাবধান হতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। সবাইকে সঞ্চয় বাড়াতে হবে। সেটা খাদ্য হোক বা জ্বালানি হোক, দুর্যোগ ও সংকট আসার আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে।
দেশে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, একদিকে করোনাভাইরাস, অন্যদিকে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধ। এই যুদ্ধের সময় রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আমেরিকা, ফলে আমাদের সার কিনতে সমস্যা হচ্ছে, খাদ্য কিনতে সমস্যা হচ্ছে। কারণ নিষেধাজ্ঞার কারণে ডলার দিয়ে কেনা যাচ্ছে না।
মানুষকে উৎপাদনে মনোযোগী হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উন্নত দেশগুলোতেও খাদ্যের জন্য হাহাকার হচ্ছে। লন্ডনে এক লিটারের বেশি খাবারের তেল কেউ কিনতে পারে না। আমাদের তো এখনো ইচ্ছে করলে পাঁচ লিটার কিনতে পারছে। আমরা জোগাড় করে দিচ্ছি। তার পরও আমাদের করতে হবে।
সোনালী/জেআর