নির্ধারিত লোডশেডিংয়েও বিশৃঙ্খলা!
উদ্ভুত সঙ্কট মোকাবিলায় সরকার জ্বালানি সাশ্রয়ে লোডশেডিংয়ের সময়সূচি ঘোষণা করেছে। সে অনুযায়ী গত মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে প্রতিদিন সূচি ধরে অন্তত এক ঘণ্টা করে বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হয়েছে। কিন্তু শুরু থেকেই এ ক্ষেত্রে সারাদেশেই বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। রাজশাহীসহ সর্বত্রই আগের মতোই যখন তখন লোডশেডিং হচ্ছে। এক ঘণ্টার জায়গায় দুই-তিন ঘণ্টাও বিদ্যুতবিহীন থাকতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের।
সরকারের নির্দেশনা মতো এলাকা ভেদে লোডশেডিংয়ের সময় সূচি প্রচারিত হলেও তা মানা হচ্ছে না। ফলে জনগণের পূর্বপ্রস্তুতি কোনো কাজে আসছে না। লোডশেডিং শুরুর ঠিকঠিকানা না থাকায় বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হচ্ছে সবাইকে। ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ফলে ঘোষিত সময় সূচি ভেস্তে যেতে বসেছে কি না সে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের বিষয়টি অস্বীকার করেনি নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) কর্তৃপক্ষ। এ জন্য তারা দায়ী করছেন স্থানীয় গ্রিড অফিসকে। লোডশেডিং দেয়া হয় স্থানীয় গ্রিড অফিস থেকে। তারা বিষয়টি বুঝে উঠতে না পারাতেই এমন অবস্থা বলেও জানিয়েছেন তারা। এমন অবস্থা সারাদেশেই।
তবে হিসাবের চেয়ে কম বিদ্যুৎ সরবরাহের কারণেই সময়সূচির বাইরেও লোডশেডিং করতে হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এক ঘণ্টার লোডশেডিং করে বিদ্যুতের ঘাটতি পূরণ করা সম্ভব না হওয়াতেই লোডশেডিংয়েও বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়ার কথা প্রকাশিত সংবাদেই জানা গেছে। পরিকল্পিত লোডশেডিং বাস্তবায়নেও সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে। রয়েছে সমন্বয়হীনতা। তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ না পাওয়াতেই যে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির পক্ষে সময়সূচি মেনে লোডশেডিং দেয়া সম্ভব হচ্ছে না এটি বোঝাই যাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতি সামলাতে এক ঘণ্টা লোডশেডিংয়ে কাজ না হলে এক সপ্তাহ পরে দুই ঘণ্টা করে লোডশেডিং করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া বিদ্যুতের চাহিদা কমাতে মিতব্যয়ী হবার কথাও বলা হয়েছে। আটটার পর দোকানপাট বন্ধ ঘোষণা ছাড়াও সরকারি অফিস সময় দুই ঘণ্টা কমিয়ে আনার প্রস্তাবও করা হয়েছে।
এধরনের নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ কার্যকর করার মাধ্যমে বিদ্যুৎ সঙ্কটের লাগাম টেনে ধরা গেলেই কেবল নির্ধারিত লোডশেডিংয়ে বিশৃঙ্খলা এড়ানো সম্ভব। দেখা যাক বাস্তবে কি হয়!