ঢাকা | ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ - ১২:০১ অপরাহ্ন

জাল সনদে ব্যাংকে ১৫ বছর চাকুরি!

  • আপডেট: Wednesday, July 20, 2022 - 11:44 pm

স্টাফ রিপোর্টার: এসএসসি থেকে শুরু করে শিক্ষগত সব সনদ জাল। আর সেই জাল সনদ দিয়েই সমবায় ব্যাংক লিমিটেডে রাজশাহীতে বহাল তবিয়তে চাকুরি করে আসছেন হিসাব রক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহমুদ হোসেন। তিনি যেসব সনদ দিয়ে চাকুরি করছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষাবোর্ডে তথ্য যাচাই করতে গিয়ে এ জাল সনদের বিষয়টি উঠে আসে।

২০০৭ সালে সমবায় ব্যাংক লিমিটেড রাজশাহীতে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে নিয়োগ পান মাহমুদ হোসেন। কয়েক বছর আগে পদন্নোতি পেয়ে মাহমুদ হোসেন হিসাব রক্ষক হয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের রাজশাহীর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবেও আছেন।

জানা যায়, সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের রাজশাহীর হিসাব রক্ষক মাহমুদ হোসেন ১৯৮৯ সালে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে পাশ করেন। তার এসএসসি সনদের রেজি নং ১৪৩৩৬/৮৮, ক্রমিক নং ১৪২০৬। খয়েরবাড়িয়া শহীদ আহমদ রফিক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তিনি দ্বিতীয় বিভাগ পান।

মাহমুদ হোসেন এইচএসসি পাশ করেন বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চন্দনবাইশা ডিগ্রি কলেজ থেকে। ২০০৩ সালে তিনি এইচএসসি পাশ করেন। তার এইচএসসি পাশের সনদের রেজি নং ৮৫৭৭২৪/২০০০-০১, রোল নং ৩৩৬৫৬৭। পান জিপিএ-৩।

তার এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার সনদ যাচাই করতে গেলে রাজশাহী শিক্ষাবোর্ডের সংরক্ষিত রেকর্ডের সঙ্গে মিল নেই। শিক্ষবোর্ডের উপ পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এ তথ্য দেন।

বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার চন্দনবাইশা ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইউনুছ আলী জানান, মাহমুদ হোসেন তার কলেজ থেকে ২০০৩ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন না।

তথ্য অনুযায়ী, হিসাব রক্ষক মাহমুদ হোসেন চন্দনবাইশা ডিগ্রি কলেজ থেকে ২০০৭ সালে বি.এ পাশ করেন। যার রোল নং ১৩৪১৩৫, রেজি নং ০১৫৭৬২৬, সেশন ২০০৩-০৪। ওই বি.এ পাশের সনদের বিষয়েও যাচাই-বাছাই শেষে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. ইউনুছ আলী জানান, ওই পরীক্ষার্থী চন্দনবাইশা ডিগ্রী কলেজের ২০০৭ সালের কোন পরীক্ষার্থী না।

এসব অভিযোগের বিষয়ে সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের রাজশাহীর হিসাব রক্ষক মাহমুদ হোসেন জানান, এসব সত্য নয়। কোন একটি মহল আমাকে বিপদে ফেলার জন্য এমন চক্রান্ত করছে। সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের রাজশাহীর ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. সোলাইমান বলেন, এসব বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। এমন বিষয় যদি হয় তাহলে আইন অনুযায়ী যা ব্যবস্থা নেয়ার তাই নিতে হবে।