ঢাকা | ডিসেম্বর ২১, ২০২৪ - ৭:৪৬ অপরাহ্ন

মডেল রাউধার মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে আবারও তদন্তের নির্দেশ

  • আপডেট: Tuesday, July 19, 2022 - 11:36 pm

স্টাফ রিপোর্টার: আন্তর্জাতিক ‘ভোগ’ সাময়িকীর মডেল মালদ্বীপের নাগরিক ও রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী রাউধা আতিফের মৃত্যু রহস্য উদঘাটনে মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার রাজশাহীর মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-৩ মহিদুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

আদেশে বলা হয়, একজন এএসপি মর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করবেন। এর আগে সিআইডি ও পিবিআই মামলাটি তদন্ত করে রাউধা আতিফ আত্মহত্যা করেছেন বলে আলাদাভাবে চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছিল।

রাউধার আইনজীবী আসলাম সরকার জানান, ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের হোস্টেলের নিজ কক্ষে রাউধা আতিফের লাশ পাওয়া যায়। রাউধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফের দাবি তার মেয়ে আত্মহত্যা করেননি। তিনি রাউধার সহপাঠী ভারতের কাশ্মীরের নাগরিক সিরাত পারভীনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। প্রথমে ময়নাতদন্ত শেষে রাউধার লাশ রাজশাহীতে দাফন করা হয়। হত্যা মামলা করার পর কবর থেকে লাশ তুলে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করা হয়। দুই ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনেই বলা হয়, রাউধা আত্মহত্যা করেছেন।

পরে ২০১৭ সালের ১৫ অক্টোবর শাহমখদুম থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার আলী তুহিন ও পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক আসমাউল হক আদালতে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেন। এতে নারাজি দেন রাউধার বাবা। আদালত তা গ্রহণ করে মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) দায়িত্ব দেন।

পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক সাইদুর রহমান ২০১৯ সালের ১৮ মে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে তিনি ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে আত্মহত্যার বিষয়টি থাকার কথা উল্লেখ করেন। আর তার নিজের তদন্তের বিষয়ে উল্লেখ করেন যে, মামলার আসামি সিরাত পারভীনের হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়ে কোনো তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

এই প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালত মামলাটি নথিজাত করেন। এতেও অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাউধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আতিফ। তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবারও মামলাটি তদন্তের আবেদন করেছিলেন।

রাউধার আইনজীবী আসলাম সরকার জানান, ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি তিনি মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার রিভিশন করেন। চলতি বছরের ১৮ এপ্রিল আদালতে রিভিশনের আবেদন মঞ্জুর হয়। সেদিন আদালত নিম্ন আদালতে বাদীর নারাজি আবেদন দাখিলের অনুমতি দেন।

গত ২৯ জুন রাউধার বাবা মামলার বাদী ডা. মোহাম্মদ আতিফ নারাজির আবেদন করেন। গতকাল মঙ্গলবার এই নারাজি আবেদনের শুনানি শেষে ম্যাজিস্ট্রেট মহিদুল ইসলাম মামলাটি পুনরায় তদন্ত করার নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, রাউধা ছিলেন মালদ্বীপের একজন জনপ্রিয় উঠতি মডেল। আন্তর্জাতিক সাময়িকী ভোগ-এর মডেল হয়েছিলেন রাউধা। ১৯৯৬ সালের ১৮ মে তার জন্ম।