ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ৬:১৩ অপরাহ্ন

মায়ের পেট ফেটে সড়কে জন্ম নেওয়া বোনকে দেখে খুশি ভাইবোন

  • আপডেট: Monday, July 18, 2022 - 11:15 am

অনলাইন ডেস্ক: চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া জান্নাত ও পাঁচ বছর বয়সী এবাদত বাবা-মা হারানোর শোক এখনও পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারছে না। সবাই বলছে তাদের বাবা-মা ঘুমিয়ে আছে বাড়ির পাশের কবরে। এদিকে মা-বাবা-বোন নিহতের সময় সড়কে জন্ম নেওয়া শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

রোববার দুপুরে হাসপাতালে সেই বোনকে দেখতে যায় জান্নাত ও এবাদত। ছোট্ট বোনকে দেখে খুশি তারা। দুপুর ২টার দিকে ময়মনসিংহ নগরীর চরপাড়া মোড়ের লাবিব প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছোট্ট বোনের সঙ্গে দেখা হয় তাদের।

গত শনিবার ট্রাকচাপায় বাবা-মা ও বোন নিহত হওয়ার সময় মায়ের পেট ফেটে জন্ম নেয় কন্যাশিশুটি। শিশুটির আপন বলতে এখন তার বড় দুই ভাইবোন জান্নাত ও এবাদত।

শিশু জান্নাত ত্রিশালের মঠবাড়ি ইউনিয়নের রায়মনি গ্রামে ব্র্যাক পরিচালিত একটি বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। জান্নাত জানায়, সে তার বোনকে লালনপালন করবে। তার কাছে রাখবে। কারও কাছে যেতে দেবে না।

হাসপাতালে ছোট বোনের কাছে যাওয়ার পর খুশি শিশু এবাদতও। বাবা-মা মারা গেছে সেটি বুঝেনি এখনও সে। বাবা-কখন বাড়ি ফিরবে এমন বায়না ধরে দাদা মোস্তাফিজুর রহমান বাবলুর কাছে।

লাবিব হাসপাতালের নার্স শরিফা আক্তার বলেন, ছোট্ট বোনের পাশে ভাই-বোন কিছু সময় ছিলো। বোনকে পেয়ে তারা খুব খুশি। কোলে নিয়ে আদর করে, ছবিও তোলে।

মোস্তাফিজুর রহমান বাবলু বলেন, বাবা-মা মারা গেছে এটি জান্নাত বুঝলেও এবাদত বুঝতে পারছে না। তাকে অনেক বুঝিয়ে শান্ত রাখা হচ্ছে।

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালের কোর্ট ভবন এলাকায় গত শনিবার জাহাঙ্গীর আলম, অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না আক্তার ও তাদের ছয় বছর বয়সী মেয়ে সানজিদা আক্তার ট্রাকচাপায় প্রাণ হারান। এই দুর্ঘটনার সময় গর্ভবতী রত্না আক্তারের পেট ফেটে জন্ম নেয় তার সন্তান। হাসপাতালে এখন চিকিৎসা চলছে তার।

সোনালী/জেআর