ঢাকা | মার্চ ১৩, ২০২৫ - ১১:৪০ পূর্বাহ্ন

স্কুলের রাস্তা বন্ধ করে প্রাচীর নির্মাণ

  • আপডেট: Sunday, July 17, 2022 - 10:37 pm

 

স্টাফ রিপোর্টার: পবা উপজেলার নওহাটা পৌরসভাধীন ভূগরইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশ মুখে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। এতে বিদ্যালয়ে ঢুকতে পারেনি শিক্ষকসহ বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। বিদ্যালয়ের গেটের সামনের জায়গায় সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে।

রোববার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার, রাজশাহী বিভাগীয় উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, পবা উপজেলা শিক্ষা অফিসার রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জয়নাল আবেদীন, নওহাটা পৌর কাউন্সিলর আবু সফিয়ান প্রমুখ।

এদিন সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ১৫-২০ জন শিক্ষার্থীসহ কয়েকজন শিক্ষক বিদ্যালয়ের সামনে বসে আছে এবং তারা শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের জন্য অপেক্ষা করছে, কিন্তু তারা সীমানা প্রাচীরের জন্য ঢুকতে পারছে না। এ নিয়ে সামনের জমির মালিকপক্ষ ও স্কুল পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এই অবস্থায় অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জান্নাতুন নেসা সাথে কথা বললে তিনি জানান, সারাদেশের ন্যায় আমাদের বিদ্যালয়েও ঈদের ছুটি দেওয়া হয়। কিন্তু ঈদের ছুটি আজকে শেষ হলে আমরা এসে দেখতে পায় আমাদের স্কুলের সামনে ইটের গাথুঁনি দিয়ে স্থায়ীভাবে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। এই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার ফলে আমরা শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করতে পারছি না। এমতাবস্থায় আমাদের সামনের দিন কি হবে কিংবা আমাদের স্কুলের রাস্তাটা আমরা কিভাবে ফিরে পাবো তা নিয়ে আমরা স্কুল কর্তৃপক্ষ দুঃচিন্তায় আছি। আমরা স্কুলের পক্ষ থেকে পবা উপজেলা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এই বিষয়ে অবগত করেছি।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মো. আব্দুল জব্বারের ছেলে পলাশের নেতৃত্বে এই সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে। আসলে বিদ্যালয়ে যাওয়ার রাস্তাটি পলাশের জমির ওপর দিয়ে। ঈদের ছুটির সুযোগ নিয়ে রাস্তা বন্ধ করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেছে।

পাশের জমির মালিক জয়নাল আবেদীন বলেন, আমি আমার পৈতৃক কিনা সম্পত্তিতে দেওয়াল দিয়েছি। প্রাচীরটি একই সাথে দেওয়ায় আমার নামটি এসেছে। এখানে স্কুলের সাথে আমার জমির কোন সম্পর্ক নাই। পাশে যতটুকু জায়গায় আমার ছিলো ততটুকু জায়গাতেই দেওয়াল দেওয়া হয়েছে।

পবা উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি হারুন আর রশিদ বলেন, স্কুলের রাস্তা বন্ধ করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অবৈধ। এই কাজে যারা জড়িত আছে সঠিক তদন্ত করে তাদের উপযুক্ত বিচার দাবী করছি এবং এই সমস্যার অতি দ্রুত একটি ইতিবাচক সমাধান আশা করছি।

পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার বলেন, আমি নিজে সরজমিনে বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছি। এখানকার মূল সমস্যাগুলো কি কি তা খতিয়ে দেখছি। আমি দু’পক্ষকে নিয়ে একসাথে বসে সুষ্ঠ সমাধান হয় সেই বিষয়ে কাজ করছি। আশা করছি এই সমস্যার একটা সুষ্ঠ সুন্দর সমাধান হবে এবং শিক্ষক শিক্ষার্থীরা তারা পূর্বের ন্যায় শ্রেণীকক্ষে ক্লাস করতে পারবে।

এব্যাপারে জয়নাল আবেদীন বলেন, পলাশের সাথে কথা হয়েছে। আপাতত শিশুদের রাস্তা দেয়া হবে। আজ থেকেই শিশুরা ক্লাসে যেতে পারবে। পাশাপাশি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে বিষয়টি সমাধানে বৈঠক করা হবে। বৈঠকে সবদিক বিবেচনা করে একটা সুন্দর ও মীমাংসাযোগ্য সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

 

Proudly Designed by: Softs Cloud