ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ৮:২৪ পূর্বাহ্ন

ডোবায় মিলল ভাই-বোনের মরদেহ

  • আপডেট: Sunday, July 17, 2022 - 11:06 am

অনলাইন ডেস্ক: লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদী সংলগ্ন একটি চরের ডোবায় সামিয়া (১০) ও তাজমুল (৭) নামে দুই শিশুর মরদেহ পাওয়া গেছে। সম্পর্কে তারা ভাই-বোন।

শনিবার (১৬ জুলাই) রাতে সদর থানা পুলিশ মরদেহ দুটি উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

তাদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের দুর্গম চর মেঘার নব্যার চরে। তারা ওই এলাকার কৃষক সুজন ডালির সন্তান।

এ ঘটনায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ তুলেছে শিশুদের পরিবার। তবে পুলিশ বলছে- ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

জানা যায়, সদর উপজেলার চর রমনীমোহন ইউনিয়নের চর মেঘা এলাকার নব্যার চরে পরিবার নিয়ে বাস করেন কৃষক সুজন ডালি। সম্প্রতি তার প্রতিবেশী প্রভাবশালী আক্কাছ ব্যাপারী ও বিলকিছ গংদের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধে মামলা চলমান রয়েছে। এর জেরে তাদের নানা হুমকি ধমকিতে সুজন ওই চরে দিনাতিপাত করছিলেন।

শনিবার বিকেলে ৩ সন্তান নিয়ে নৌকায় বাড়ির পাশের একটি দোকানে মালামাল কিনতে যান তিনি। এরপর বড় সন্তানকে তার সঙ্গে রেখে দিয়ে ছোট দুই সন্তান সামিয়া ও তাজমুলকে নৌকায় উঠিয়ে দিয়ে বাড়ির উদ্দেশে ছেড়ে দেন।

বিকেলে মেঘনা নদীর জোয়ারের পানি বাড়লে পুরো চর ডুবে যায়। কিছুক্ষণ পর তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। একপর্যায়ে বাড়ির পাশের একটি ডোবায় তাদের মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। এতে পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।

এ ঘটনা নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পানিতে ডুবে মৃত্যু নাকি হত্যাকাণ্ড এ নিয়ে জনমনে সংশয় দেখা দেয়।

শিশুদের বাবা সুজন ডালি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে প্রতিপক্ষ বিলকিছ গংরা তার সন্তানদের হত্যা করেছে। এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।

সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল হক বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনের পর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।

সোনালী/জেআর