ঢাকা | নভেম্বর ২০, ২০২৪ - ১১:২৫ অপরাহ্ন

ঘরে ঘরে সর্দি-জ্বরের রোগী জায়গা নেই হাসপাতালে

  • আপডেট: Saturday, July 16, 2022 - 11:18 pm

 

এইচ এম শাহনেওয়াজ, পুঠিয়া থেকে: পুঠিয়ায় গত কয়েকদিন থেকে প্রায় প্রতিটি ঘরে প্রাপ্ত বয়স্ক ও শিশুরা জ্বর-সর্দি ও ডায়রিয়ার রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। উপজেলা ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। সেখানে ঠাঁই না পেয়ে অনেক রোগী ছুটছেন রামেক হাসপাতালে।

তবে চিকিৎসকরা বলছেন, বৈরি আবহাওয়া কারণে এর প্রভাব পড়ছে বিভিন্ন বয়সের লোকজনের ওপর। তবে আতঙ্ক হওয়ার কিছুই নেই। যথাযথ নিয়মে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করলে এই সঙ্কট কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরা সম্ভব বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা।

শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘুরে দেখা গেছে, সাধারণ ওয়ার্ডের পাশাপাশি শিশু ওয়ার্ড জুড়ে রোগীতে পরিপূর্ণ। বেডে জায়গা না পেয়ে বেশীর ভাগ রোগী মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করছেন। আর এ সকল বেশীর ভাগ রোগী জ্বর-সর্দি ও ডায়রিয়া জনিত। এছাড়া শ্বাসকষ্ট জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত। এছাড়া জরুরি বিভাগ ও বহির্বিভাগ জুড়ে শত শত রোগীরা সেবা নিতে আসছেন।

জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহ থেকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুণ। তবে শিশু রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। এদের মধ্যে অধিকাংশ শিশু রোগী। এছাড়া বহির্বিভাগেও প্রায় একই অবস্থা। তিনি বলেন, সম্প্রতি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত অনেক রোগী আসছে। এছাড়া জ্বর-সর্দি আক্রান্ত ও শিশু রোগীর সংখ্যাও কম নয়। তবে অতি গুরুতর রোগীদের রামেক হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। আর কম গুরুত্বপূর্ণ রোগীদের এখানে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এছাড়া সাধারণ রোগিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।

চিকিৎসা নিতে আসা আজম আলী বলেন, এখন প্রায় বাড়িতেই বড় মানুষ ও বাচ্চাদের জ্বর-সদির্, কাশি ও ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থরা হাসপাতালে আসছেন। বাকিরা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে যাচ্ছেন।

ফাতেমা বেগম নামের একজন ভর্তি রোগী বলেন, হটাৎ করে গত দুইদিন আগে পাতলা পায়খানা শুরু হয়। বাড়িতে থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কোনো লাভ হয়নি বরং কিছু সময়ের মধ্যে শরীর নিস্তেজ হতে শুরু হয়। এরপর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি। তিনি বলেন, হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের বেশীর ভাগ ডায়রিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত।

জুনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন ডাক্তার শুভ্র প্রকাশ পাল বলেন, বৈরি আবহাওয়ার কারণে শিশু ও বয়স্কদের শ্বাসকষ্ট, জ্বর-সর্দিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। গত কয়েকদিন থেকে রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। আমরা সকল রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। তবে আতঙ্কের কিছু নেই। সঠিক নিয়মে চিকিৎসা গ্রহণ করলে অল্প সময়ের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবে। তবে গুরুতর আক্রান্ত বাচ্চাদের এখানে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল মতিন বলেন, সম্প্রতি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর সংখ্যা কিছুটা বেড়েছে। আগত সকল রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যথাযথ সেবা দেয়া হচ্ছে।