ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ৮:৩৬ পূর্বাহ্ন

কাঁচকলার উপকারিতা

  • আপডেট: Saturday, July 16, 2022 - 12:59 pm

অনলাইন ডেস্ক: কাঁচকলায় প্রচুর ক্যালোরি থাকে (মাত্র ১০০ গ্রাম কাঁচকলায় ক্যালোরির পরিমাণ প্রায় ৮৩ গ্রাম)। তাই কর্মক্ষমতা বাড়াতে কাঁচকলা বিশেষভাবে সাহায্য করে। কাঁচকলা পটাশিয়ামের উৎস হিসেবে কাজ করে, স্নায়ু ভালো রাখতে ও মাংসপেশির কর্মক্ষমতাকে সচল রাখতে এর জুড়ি মেলা ভার। বলা বাহুল্য, নিয়মিত কাঁচকলা খেলে মাংসপেশির জড়তাজনিত রোগ সহজেই এড়ানো যায়। কাঁচকলায় রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে।

পেটের সমস্যা কিংবা পেটের অসুখে কাঁচকলা অব্যর্থ। কাঁচকলায় থাকে এনজাইম, যা ডায়রিয়া এবং পেটের নানা ইনফেকশন দূর করে। কাঁচকলায় থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড পরিপাক নালি থেকে লবণ ও জল শোষণ করে ডায়রিয়া রোধ করে থাকে। কাজেই ডায়রিয়া হলে কাঁচকলা খাওয়া যেতে পারে। শুধু ডায়রিয়া-জাতীয় রোগ সংক্রমণের ক্ষেত্রেই নয়, কাঁচকলা কোলন থেকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া, ইনফেকশন এবং জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে।

সুতরাং, দীর্ঘমেয়াদি কোলন-সংক্রান্ত রোগের উপশমে কাঁচকলা সাহায্য করতে পারে। তবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে কাঁচকলা না খাওয়াই ভালো। এতে সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। কাঁচকলায় পাওয়া যায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, যা হূৎস্পন্দন ঠিক রাখতে এবং রক্তচাপ বজায় রাখতে বিশেষভাবে সহায়ক। কাজেই হৃদরোগের সমস্যায় কাঁচকলা অব্যর্থ।

তবে পটাশিয়াম বেশি থাকে বলে উচ্চ রক্তচাপ অথবা কিডনির রোগে আক্রান্ত রোগীদের পক্ষে কাঁচকলা খাওয়ার বিষয়ে বিশেষ নিয়ন্ত্রণ থাকা উচিত। বর্তমানের লাইফস্টাইল অনুযায়ী হেলদি এবং ফিট থাকার বিষয়টি একেবারে টপলিস্টে। ওজন কমাতে চাইলে আপনার খাবারের লিস্টে রাখুন কাঁচকলা বা কাঁচকলার কোনো তরকারি। কাঁচকলায় ফাইবার বেশি পরিমাণে থাকায় একদিকে যেমন পেট ভর্তি থাকে, তেমনি এটি আঁশযুক্ত হওয়ায় শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।