ধূমকেতু এক্সপ্রেসের ট্রেনের বগিতে আগুন
স্টাফ রিপোর্টার: ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগিতে চাকার বিয়ারিং অকেজো হয়ে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। প্রায় তিন ঘণ্টা পর বগি পরিবর্তন করে আবারও যাত্রা শুরু করে ধূমকেতু এক্সপ্রেস।
রাজশাহীর আড়ানী রেলওয়ে স্টেশনে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ধূমকেতু ট্রেনের অতিরিক্ত বগিতে (এক্সটা থ্রি) আগুন লাগে। এতে হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ট্রেনের ১৬টি বগিতে প্রায় এক হাজার ২০০ জন যাত্রী ছিল।
রাজশাহী স্টেশন থেকে রাত ১১টা ২০ মিনিটে ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে। আড়ানী স্টেশনে রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে পৌঁছার কথা থাকলেও বিলম্বের কারণে রাত ১২টা ৯ মিনিটে পৌঁছে। এর মধ্যে ট্রেনের একটি চাকার বিয়ারিং অকেজো হয়ে আগুন ধরে যায়।
ট্রেনের চাকায় আগুন চোখে পড়ে রাজশাহী নগরীর শিরোইল এলাকার বাসিন্দা আমির হোসেন বিদ্যুতের। তিনি আগুন দেখে ট্রেন থামানোর জন্য শিকলে টান দেন। আড়ানী রেলস্টেশনে ট্রেন গিয়ে থামে। সেখানে ওই বগির যাত্রীরা সবাই নেমে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণের পর ট্রেনের বগি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে রেল কর্তৃপক্ষ। ওই রাতেই রাজশাহী থেকে একটি বগি এনে রাত ৩টার দিকে ২ ঘণ্টা ৫১ মিনিট বিলম্বের পর ট্রেন ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। আর ক্ষতিগ্রস্থ ওই বগিটি আড়ানী স্টেশনে রাখা হয়।
তবে আগুন লাগার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আড়ানী রেলস্টেশন মাস্টার ময়েন উদ্দিন আজাদ। তিনি বলেন, ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনের চাকার বিয়ারিং জ্যাম হয়ে ধোঁয়া হচ্ছিল। সেখানে আগুন লাগেনি। ট্রেন থামার পর ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বিষয়টি পশ্চিমাঞ্চল রেলের মহাব্যবস্থাপক অসিম কুমার তালুকদারকে অবগত করে ট্রেনের বগি পরিবর্তন করে দেয়া হয়।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসিম কুমার তালুকদার বলেন, ৭৬০৩ নম্বরের এক্সটা-৩ বগির চাকার বিয়ারিং সিজ করেছিল। দীর্ঘদিন চলার ফলে এবং লুব্রিকেন্ট কমে গেলে এমন হয়। কোচ সঙ্কট সত্ত্বেও যাত্রী পরিবহন স্বাভাবিক রাখতে এই কোচটি ধূমকেতুতে যুক্ত করা হয়েছিল। এমন ঘটনা আমাদের কাছে স্বাভাবিক। কিন্তু যাত্রীদের কাছে নতুন। চাকা থেকে ধোঁয়া উঠতে দেখে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে কোচটি রেখে ধূমকেতু ছেড়ে যাওয়ার কথা হয়। কিন্তু আপত্তি জানান যাত্রীরা। শেষে রাজশাহী থেকে নতুন কোচ এনে সংযোজন করা হয়। এরপর রাত ৩টার দিকে আড়ানী স্টেশন ছেড়ে যায় ট্রেনটি।