ঈদের পরই ঝকঝকে তকতকে রাজশাহী
স্টাফ রিপোর্টার: এবারও ঈদের দিনেই রাজশাহী মহানগরীর সব কোরবানির বর্র্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের আগেই কোরবানির বর্জ্য অপসারণের নজির দেখিয়েছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)। গতবারের মতো এবারো দ্রুত সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করেছে রাসিক। তাই তো ঈদের পরদিনই পরিচ্ছন্ন ও ঝকঝকে তকতকে শহর পেয়েছেন নগরবাসী।
গত রোববার ঈদুল আযহার দিন সকাল ১০টা থেকে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করেন সিটি করপোরেশনের ১ হাজার ৩৭৮ জন পরিচ্ছন্নকর্মী। বিকেলের মধ্যে ৩০টি ওয়ার্ড থেকে বর্জ্য নিয়ে রাখা হয় রাসিকের নির্ধারিত সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) এবং অন্য ৫৮টি স্থানে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর ঐতিহ্য চত্বর এসটিএসে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
এরপর থেকে এসটিএসসহ নির্ধারিত স্থানসমূহ থেকে বর্জ্য রাসিকের ডাম্পিং ইয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন জানিয়েছিলেন, রাত ১২টার মধ্যে কোরবানির সকল বর্জ্য অপসারণ করা হবে। তবে তার আগেই বর্জ্য অপসারণ করা হয়। ২৮টি ট্রাক ও ট্রাক্টরের মাধ্যমে বর্জ্য নিয়ে যাওয়া হয় ডাম্পিং ইয়ার্ডে।
বর্জ্য অপসারণে সার্বিক সহযোগিতা করায় নগরবাসীকে আন্তরিক ধন্যবাদ সিটি মেয়র লিটন। তিনি বলেন, ‘নগরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা ও আমাদের পরিচ্ছন্নকর্মীদের নিরলস প্রচেষ্টায় দ্রুত সময়ের কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। এ জন্য আমি রাজশাহী নগরবাসী এবং পরিচ্ছন্ন বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি জানান, কোরবানির পশু জবেহকরণের জন্য ২১০টি স্থান নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। তবে নির্ধারিত স্থানের বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় পশু কোরবানি হয়। সবখানের বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। পানি দিয়ে পরিষ্কার করা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ব্লিচিং পাউডার ছিটানো হয়েছে। ফলে ঈদের পরদিনই পাওয়া গেছে দুর্গন্ধমুক্ত ঝকঝকে তকতকে রাজশাহী।