ঢাকা | ডিসেম্বর ২২, ২০২৪ - ১১:০৭ পূর্বাহ্ন

ঈদের দিন মাংসের বাজার!

  • আপডেট: Tuesday, July 12, 2022 - 10:21 pm

 

স্টাফ রিপোর্টার: কোরবানির ঈদের দিন রাজশাহীতে মাংসের বাজার বসেছে। কোরবানির মাংস সংগ্রহের পর তা বিক্রি করা হয়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষ ও ভিক্ষুকরা মাংস সংগ্রহের পর বিকালে এক শ্রেণির মৌসুমি মাংস বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেছেন। পরে ওই ব্যবসায়ীরা এসব মাংস ভ্যানে সাজিয়ে বিক্রি করেছেন।

ঈদের দিন গত রোববার বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর দড়িখড়বোনা মোড়, রেলগেট, রেলওয়ে স্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব মাংস কেনাবেচা করতে দেখা গেছে। সংগ্রহ করা এসব মাংসের দামও কম ছিল না। রাজশাহীর বাজারে এখন গরুর মাংসের দাম ৬৭০ টাকা। কিন্তু সংগ্রহ করা মাংসই ভ্যানে করে ৬২০ থেকে ৬৫০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

রাজশাহীতে গত কয়েকটি কোরবানির ঈদেও এভাবে মাংস বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে মাংসের দাম ছিল বাজারের তুলনায় ১০০ থেকে ১৫০ টাকা কম। এবার সেই তুলনায় চড়া দামে কোরবানির মাংস বিক্রি হয়েছে। অবশ্য যারা সংগ্রহ করে এনে ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছেন তারা কেউ ৪৫০ টাকার বেশি দাম পাননি। মধ্যসত্বভোগী ব্যবসায়ী হাতবদল করেই কেজিপ্রতি ১৭০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত লাভ করেছেন।

ঈদের দিন সবচেয়ে বেশি এই মাংস কেনাবেচা জমে উঠেছিল নগরীর দড়িখড়বোনা মোড়ে। যাঁরা মাংস কিনতে এসেছিলেন তাদের বেশিরভাগই বিভিন্ন ছোট ছোট খাবারের হোটেলের মালিক। তবে কোরবানি দিতে পারেননি এমন নিম্ন আয়ের অনেক মানুষকেও দরদাম করে মাংস কিনতে দেখা গেছে। তবে এবার দাম বেশি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।

নগরীর শিরোইল কলোনী এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, এবার কোরবানি দিতে পারিনি। ছেলে-মেয়ের মুখে একটু মাংস তুলে দিতে এখানে কিনতে এসেছি। কিন্তু এখানেও দাম কম না। একই কথা বললেন দড়িখড়বোনা এলাকার এক খাবারের হোটেলের ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, এখানেই মাংসের যে দাম চাচ্ছে তার চেয়ে বাজার থেকেই মাংস কেনা ভাল।

মফিজুল হোসেন নামে এক ব্যক্তি সংগ্রহ করা মাংস বিক্রি করতে এসেছিলেন। তিনি জানান, সারাদিন ঘুরে তিনি দুই কেজি মাংস সংগ্রহ করেছেন। ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করলেন। অভাবের সংসারের প্রয়োজন মেটাতে তিনি মাংসটুকু না খেয়ে বিক্রি করে দিলেন।

মাংস ব্যবসায়ী মেরাজ হোসেন বলেন, ‘গরীব মানুষ মাংস বেচে দিলে কিছু টাকা পাচ্ছে। সেটা তাদের কাজে লাগবে। তাই অনেকে সংগ্রহ করা মাংস বিক্রি করে দিচ্ছে। আমরা কিনে আবার বিক্রি করছি। এ জন্য আমার একটা ভ্যান বসে আছে। আমি নিজে খাটছি। কেনা দামের চেয়ে তো একটু বেশি দামেই বেচতে হবে। তা না হলে তো লাভ হবে না।’