ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ১১:২৫ পূর্বাহ্ন

‘ভয়ঙ্কর মাছির’ আতঙ্কে ঘুম হারাম ভারতের সিকিমে: রিপোর্ট

  • আপডেট: Thursday, July 7, 2022 - 2:00 pm

অনলাইন ডেস্ক: ভারতের সিকিমজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে নায়রোবি মাছির আতঙ্ক। দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, সিকিম মনিপাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি ক্যাম্পাসের প্রায় ১০০ শিক্ষার্থীর ত্বকে এই মাছির কারণে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এই মুহূর্তে সিকিমের আবহাওয়া এবং তাপমাত্রা এই পতঙ্গের বেড়ে ওঠার পক্ষে অনুকুল বলে মত পতঙ্গবিদদের।

প্রতিবেদনে কলেজ কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, সংক্রমিত শিক্ষার্থীদের ওষুধ দেওয়া হয়েছে, তারা সুস্থ হয়ে উঠছেন ধীরে ধীরে। তবে একজন ছাত্রীর পরিস্থিতি বেশ খারাপ ছিল, তার হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে।

জানা গেছে, দেশটির উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজের তিন শিক্ষার্থীও এই মাছির হানায় সংক্রমিত হয়েছেন।

নায়রোবি মাছির উৎপত্তি কোথায়?

মূলত পূর্ব আফ্রিকায় উৎপত্তি নায়রোবি মাছির। এটিকে কেনিয়ান ফ্লাই বা ড্রাগন পোকাও বলা হয়। খানিকটা গোবরে পোকার মতো দেখতে এই পতঙ্গের দুটি প্রজাতি রয়েছে। একটি প্রজাতির রং হয় কমলা, অন্যটির কালো। বৃষ্টিপ্রবণ অঞ্চলে এরা দ্রুত বংশবিস্তার করে। এই নায়রোবি মাছি কামড়ায় না, হুলও ফোটায় না। তবে শরীরের উপর বসলে ত্বকে জ্বালা ধরায়। ত্বকের উপর নায়রোবি পতঙ্গ বসলে ফ্যাকাসে দাগও হয়ে যায়। তবে এক-দু’সপ্তাহের মধ্যে আবার স্বাভাবিক হয়ে যায় ত্বক।

মানুষ কীভাবে এই সব পোকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়?

এই পোকাগুলো কীটপতঙ্গ খায়। বিশেষ করে যেসব কীটপতঙ্গ ফসলের ক্ষতি করে, সেগুলোই খায়। এই প্রকার মাছি ত্বকে বসার সময় কড়া ধাঁচের অম্ল নিঃসরণ করে যা ত্বককে পুড়িয়ে দেয়। এই অম্ল ধাঁচের পদার্থটিকে পেডারিন বলা হয়। এটি ত্বকের সংস্পর্শে এলে প্রবল জ্বালা হয়। তার ফলে ত্বক পুড়ে গিয়ে ক্ষত তৈরি হয়। ত্বকের এই সমস্যা এক বা দুই সপ্তাহের মধ্যে নিরাময় হলেও সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়। সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ফার্স্টপোস্ট, ডিএনএন

সোনালী/জেআর