ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ২:০৪ অপরাহ্ন

ড. জোহার স্মৃতিফলক না সরিয়ে বিকল্প নকশা প্রণয়নের দাবি

  • আপডেট: Thursday, July 7, 2022 - 10:09 pm

 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: ১৯৬৯ সালে ১৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানি সেনাদের গুলিতে শহীদ হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও তৎকালীন প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের পাশের ওই স্মৃতি বিজড়িত স্থানে রয়েছে একটি স্মৃতিফলক। মহাসড়কটি বর্তমানে ছয় লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। ফলে ওই স্মৃতিফলকটি সরিয়ে রাস্তা প্রশস্তকরণের পরিকল্পনা করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন।

সেই পরিকল্পনার প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশন। সেই সঙ্গে স্মৃতিফলক না সরিয়ে বিকল্প পরিকল্পনার দাবি জানায় সংগঠনটি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে সংগঠনের সদস্য সন্তপ্ত সন্ধি প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা এ দাবি জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির নেতারা দুইটি বিকল্প প্রস্তাব করেন। তাদের প্রস্তাব- স্মৃতিফলক যেটুকু জায়গা নিয়ে আছে তার সমপরিমাণ জায়গা নিয়ে দক্ষিণ দিকে রাস্তা করা এবং ছয় লেনের একটা লেন টানেলের মাধ্যমে করা।

বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির নেতারা বলেন, শহীদ ড. জোহার স্মৃতিবিজড়িত স্থানে নির্মিত স্মৃতিফলকটির সাথে বাংলাদেশের আত্মদানের ইতিহাস জড়িত। এটা শুধু একটা স্মৃতিফলকই নয় বরং এটি একটি আত্মমর্যাদার প্রতীক। যা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারাদেশের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও জনগণের আবেগ অনুভূতির সাথে জড়িয়ে আছে। এটি সরিয়ে রাস্তার পাশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে রাসিক কর্তৃপক্ষ। যেটা আমরা কখনোই হতে দিবো না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আপনারা বিকল্প উপায় বের করেন। স্মৃতিফলক ঠিক রেখেই বিকল্প কিভাবে ছয় লেনের রাস্তা করা যায় তার উপায় বের করুন। স্মৃতিফলক সরানোর ভূত মাথা থেকে নামান। যেই স্থানে দাঁড়িয়ে ড. জোহা স্যার হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জীবন রক্ষার জন্য রক্ত দিয়েছেন সেই স্থানে নির্মিত স্মৃতিফলক রক্ষার জন্য প্রয়োজনে আমরাও জীবন দিবো।

নেতারা আরও বলেন, ড. জোহার স্মৃতিফলক অক্ষত রেখে ৬ লেনের রাস্তা করার বহু বিকল্প আছে। সেদিকে না গিয়ে শর্টকাট পথে হাঁটতে মরিয়া রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন। এটা ড. জোহার সংগ্রাম ও ত্যাগের প্রতি অবহেলা ও অশ্রদ্ধা। এটা অন্যায়।