ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ১১:২১ পূর্বাহ্ন

এক্সপ্রেসওয়েতেও মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধের প্রস্তাব

  • আপডেট: Wednesday, June 29, 2022 - 10:25 pm

অনলাইন ডেস্ক: এবার ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়েও মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধের প্রস্তাব করতে যাচ্ছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ)। সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রধান প্রকৌশলী। তবে সব পক্ষের মতামত পাওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে বলেও জানান তিনি।

আজ বুধবার বিকেলে তেজগাঁওয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায়ে নিয়োগ পাওয়া কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি সই অনুষ্ঠানে এ সড়কে মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাবের বিষয়টি জানান সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী একেএম মনির হোসাইন পাঠান। এদিকে চুক্তিতে সওজের পক্ষে ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খান ও কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনের লি ইয়ং সান সই করেন।

এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধের বিষয়ে প্রধান প্রকৌশলী একেএম মনির হোসাইন পাঠান বলেন, গত ঈদে যে সংখ্যক সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে তার এক-তৃতীয়াংশ মোটরসাইকেলের কারণে হয়েছে। সড়কে ৪৬টি স্থানে সিসি ক্যামেরা রয়েছে। ক্যামেরা পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, মোটরসাইকেল চালকেরা হঠাৎ করেই লেন পরিবর্তন করেন। বাস, ট্রাক বা ট্রেইলর ভারি যানবাহন হওয়ায় মোটরসাইকেলের মতো হুট করেই সুইং করতে পারেন না। এতে দুর্ঘটনা ঘটে। যেসব সড়কে ভারি গাড়ি দ্রুতবেগে চলে সেখানে মোটরসাইকেলের মতো যানবাহন চলা উচিত নয়। এ কারণে বিভিন্ন ফোরামে এই এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধের প্রস্তাব করেছি। সব পক্ষ একমত হলে মোটরসাইকেল নিষিদ্ধ হবে। তবে মোটরসাইকেল এক্সপ্রেসওয়ের অ্যাপ্রোচ সড়ক ব্যবহার করতে পারবে।

টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে মনির হোসাইন বলেন, সামনে ঈদুল আজহা। ওই সময়ে এই এক্সপ্রেসওয়েতে প্রতিদিন ২৫-৩০ হাজার গাড়ি চলবে। টোল প্লাজার কারণে গাড়ি চলাচলে যেন বিঘ্ন না হয় সেই পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি সড়ক ব্যবহারকারীদেরও নিয়ম মেনে গাড়ি চালানোর আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে ঢাকা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. সবুজ উদ্দিন খান জানান, প্রথম ছয় মাস আধা ডিজিটাল, আধা ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে টোল আদায় হবে। এই মাসের মধ্যে টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান পদ্মা সেতু ও এক্সপ্রেসওয়েতে টোল আদায়ের একই ধরনের আধুনিক পদ্ধতি স্থাপন করবে। তখন আর টোল দিতে সময়ক্ষেপণ হবে না।

এদিকে এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় চুক্তি অনুযায়ী, আগামী ৫ বছর এক্সপ্রেসওয়েতে চলা গাড়ির টোল আদায় করবে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন। একই সঙ্গে এই এক্সপ্রেসওয়ের রক্ষণাবেক্ষণ, আধুনিক টোল প্লাজা ও বুথ নির্মাণ, টোল আদায়ে আধুনিক পদ্ধতি ও ওজন স্কেল স্থাপন এবং সড়কে সিসি ক্যামেরাসহ বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি বসাবে। এ জন্য প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ বছরে ৭১৭ কোটি ৪ লাখ টাকা। যদিও ওই টাকা থেকে ভ্যাট বাবদ ৯৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ও আয়কর বাবদ ১২৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা সরকারের খাতেই যুক্ত হবে।