আ.লীগ নেতার কুশপুত্তলিকা দাহ, ঝাড়ু মিছিল
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পবায় এক আওয়ামী লীগ নেতার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল করা হয়েছে। রোববার বিকালে পবার পারিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহরাব আলীর বিরুদ্ধে স্থানীয়রা এ কর্মসূচি পালন করেন।
পারিলা বাজারে প্রথমে মানববন্ধন করে সোহরাব আলীর বহিষ্কার দাবি করা হয়। এতে এলাকার কয়েক শো নারী-পুরুষ অংশ নেন। পরে নারীরা ঝাড়ুমিছিল বের করেন। এ সময় সোহরাব আলীর কুশপুত্তলিকা দাহ করে দ্রুত তাকে বহিষ্কারের দাবি জানানো হয়।
সম্প্রতি পারিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সোহরাব আলীকে সভাপতি করা হয়। এর আগেও তিনি সভাপতি ছিলেন। অভিযোগ আছে, পর পর দুটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি নৌকার বিরোধীতা করে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন। ওই ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক নিয়ে দুবার পরাজিত প্রার্থী ফাহিমা বেগমই এ অভিযোগ করেন।
এ কারণে দলের নেতাকর্মীদের একটি অংশ সম্মেলনের আগে সোহরাব আলীরও বিরোধীতা করেন। তারা আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও করেন। এসব বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশ হয়।
এ কারণে সোহরাব আলী দ্বিতীয় দফায় সভাপতি হওয়ার তিন দিন পরই সাংবাদিকসহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত করেন। আহত হন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল্লাহ গালিব ও তার বাবা হেলাল উদ্দিন এবং এক ছাত্রলীগ নেতা। এদের মধ্যে হেলাল উদ্দিন পারিলার ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগে টানা ১৩ বছর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার ছেলে গালিব রাজশাহীর স্থানীয় দৈনিক সানশাইনের অনলাইন সম্পাদক।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের কাছে সোহরাবের নৌকার বিরোধীতা করার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনজনকে মারধরের সময় সোহরাব বলছিলেন, ‘মেয়র লিটন তোর বাপ হয়? অভিযোগ দিস? এখন তোর কোন বাপ রক্ষা করবে।’
তাদের ওপর এ হামলা এবং মেয়র খায়রুজ্জামান লিটনকে কটূক্তি করার কারণেই সোহরাব আলীর বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন, ঝাড়ুমিছিল ও কুশপুত্তলিকা দাহ করার কর্মসূচি পালিত হলো। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে সোহরাব আলী বলেন, এ ধরনের কর্মসূচি পালনের কথা তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে তিনি পরে কথা বলবেন।