এক পায়ে ১০ সেকেন্ড দাঁড়াতে অক্ষম ব্যক্তিদের মৃত্যু ঝুঁকি বেশি
![](https://sonalisangbad.com/wp-content/uploads/2022/06/Untitled-1-copy-148.jpg)
অনলাইন ডেস্ক: মধ্যবয়সী মানুষ যারা এক পায়ে অন্তত ১০ সেকেন্ড দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না, তারা ১০ বছরের মধ্যে মারা যাওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকেন। ব্রিটেনের একটি স্পোর্টস মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
গবেষকরা দেখেছেন, গবেষণায় অংশ নেওয়া যে ব্যক্তিরা (বয়স এবং অসুস্থতার মতো বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে) পরীক্ষার সময় সাধারণভাবে এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে বা ভারসাম্য ধরে রাখতে পেরেছেন, এদের তুলনায় যাদের ভারসাম্য ধরে রাখতে কসরত করতে হয়েছে বা পারেননি তাদের পরবর্তী ১০ বছরের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি ৮৪ শতাংশের বেশি। ২০০৯ সালে ব্রাজিলে শুরু হওয়া পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৭০২ জন মানুষের ফিটনেস এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত একটি গবেষণায় এই ফল আসে। খবর এনডিটিভির।
গবেষণায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের এক পায়ে দাঁড়িয়ে, অপর পা দাঁড়ানো পায়ের পেছনে বিপরীত দিকে উপরে তুলে কোনো কিছু স্পর্শ না করে দাঁড়াতে এবং দুই হাত শরীরে দুই পাশে রেখে সামনে তাকাতে বলা হয়। তাদেরকে তিন বার এভাবে দাঁড়ানোর সুযোগ দেওয়া হয়। প্রতি পাঁচজনে একজন এভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে ব্যর্থ হয়েছে। সাধারণত যারা একটু বয়স্ক এবং স্বাস্থ্যগত দিক দিয়ে সমস্যা ছিল তারাই ব্যর্থ হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফিনল্যান্ড ও ব্রাজিলের গবেষকরা বলছেন, বয়স্ক লোকদের রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় এই ভারসাম্য রক্ষার বিভিন্ন উপাদানগুলো ডাক্তারদের গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্যগত তথ্য দিয়ে থাকে। তারা বলছেন, এই ভারসাম্য রক্ষা করতে না পেরে প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৬ লাখ ৮০০ হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে এবং ১০ সেকেন্ডভিত্তিক এই পরীক্ষা ব্যবহার করে কারা মৃত্যুর উচ্চ ঝুঁকিতে আছেন তা বের করা যায়।
গবেষকরা আরও বলেছেন, পরীক্ষাটি উল্লেখযোগ্যভাবে সহজ, রোগীরা খুব সহজে অংশ নিতে পারে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এটি আমাদের রুটিন অনুশীলনের সময় কেবল ১ থেকে ২ মিনিট সময়ের মধ্যে করা যায়। যে কেউ বয়স ৬০ বছরে পৌঁছানোর আগ পর্যন্ত এক পায়ে দাঁড়িয়ে ভারসাম্য ধরে রাখতে পারেন। ৬০ বছরের পর থেকে এই সক্ষমতা কমতে থাকে।