ঢাকা | ডিসেম্বর ২৩, ২০২৪ - ৮:৩৯ পূর্বাহ্ন

রোগীদের সামনেই নার্সদের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করলেন চিকিৎসক

  • আপডেট: Sunday, June 19, 2022 - 11:10 pm

 

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রোগীদের সামনেই এক চিকিৎসক নার্সদের অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার সকালে হাসপাতালের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন নার্সেরা।

অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম আলমগীর হোসেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক ডা. আলমগীর হোসেন হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা দুপুরে হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামিম ইয়াজদানীর সঙ্গে দেখা করেছেন।

পরিচালক তাঁদের বলেছেন, ডা. আলমগীর হোসেন মূলত রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যাপক। এ বিষয়টি নিয়ে তিনি কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন। তারপর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডা. আলমগীর হোসেন ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে রাউন্ডে যান। সে সময় নার্সদের কেউ রোগীদের ওষুধ দিচ্ছিলেন, কেউ ইনজেকশন কিংবা স্যালাইন লাগাচ্ছিলেন। তাই চিকিৎসকের কাছে যেতে তাদের একটু দেরি হয়। দুই-তিন মিনিট পর দুজন সিনিয়র স্টাফ নার্স তাঁর কাছে যান।

এ সময় তাঁদের দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন ডা. আলমগীর হোসেন। এতক্ষণ কোথায় ছিলে, প্রশ্ন করে তিনি সব নার্স সম্পর্কেই আপত্তিকর কথা বলেন। অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজও করেন। তিনি নার্সিং সুপারিনটেনডেন্টকে ফোন করে ওই দুই নার্সকে এই ওয়ার্ড থেকে সরিয়ে অন্য ওয়ার্ডে দেওয়ারও নির্দেশ দেন। এরপরও ওই দুই নার্স ডা. আলমগীর হোসেনের সঙ্গে ডিউটি করেন।

নার্সরা বলছেন, রোগী ও তাদের স্বজনদের সামনেই এভাবে গালাগাল করা তাঁদের জন্য ভীষণ অপমানজনক। ভুক্তভোগী দুই নার্স মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাঁরা বিষয়টি নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনকে জানিয়েছেন। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা হাসপাতালের পরিচালকের সঙ্গে দেখা করে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সোমবার এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা লিখিত অভিযোগ করতে পারেন বলেও হাসপাতাল সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে ডা. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘গালাগাল নয়, একটু বকাবকি করেছি। এই কারণেই তাঁরা হয়ত একটু মন খারাপ করেছে।’ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী বলেন, ‘হাসপাতালটাও একটা পরিবারের মতো। পরিবারের দুই ভাই, তিন বোন থাকলে যেমন একটু-আধটু বিভিন্ন ঘটনা ঘটে, এটা সে রকমই। আমরা বিষয়টা দেখছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’