শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হবে কিশোর-কিশোরী ক্লাব
অনলাইন ডেস্ক: দেশের সকল মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিশোর-কিশোরী ক্লাব হবে। দেশব্যপী পুষ্টিকার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। আগামী ৩০ জুলাইর মধ্যে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এই গঠণের জন্য নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রমের প্রশিক্ষণ অ্যাপস এবং কৈশোরকালীন পুষ্টি কার্যক্রম বাস্তবায়নে গাইডলাইন উদ্বোধন করেন। ইতোমধ্যে দেশের এক লাখ শিক্ষকে এ বিষয়ে অনলাইনে প্রশিক্ষণও দেয়া হয়। এর অংশ হিসেবে চলতি বছরের মার্চে দেশব্যপী ২০ কোটি আয়রন ফলিক এসিড ট্যাবলেট বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে ছাত্রীদের একটি করে এই ট্যাবলেট খাওয়ানো হচ্ছে। এই কার্যক্রমের আর্থিক সহোযোগিতা করছে ইউনিসেফ।
এদিকে বৃহস্পতিবার মাউশি কিশোর-কিশোরী ক্লাব গঠণের নির্দেশনা দিয়ে প্রত্যেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে।
এতে দেখা যায়, মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণি থেকে ৬ জন করে মোট ৩০ জন এবং উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চার থেকে পাঁচ জন করে মোট ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে কিশোর-কিশোরী ক্লাব গঠন করতে হবে। এক্ষেত্রে বিদ্যালয়টি কো-এডুকেশন হলে ৩০ জন সদস্যদের অর্ধেক মেয়ে এবং অর্ধেক ছেলে হতে হবে। এই কিশোর-কিশোরী ক্লাবের মাধ্যমে সকল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও অন্যান্য সেবা প্রদান করা হবে। ক্লাব পরিচালনার জন্য স্টুডেন্ট ক্যাবিনেট সদস্যদের মধ্য থেকে সম্ভব হলে দুইজন (একজন মেয়ে ও একজন ছেলে) ক্লাব লিডার নির্বাচন করতে হবে।
চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও অন্যান্য সেবামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে ক্লাবের সদস্যদের সহায়তার জন্য প্রধান শিক্ষক ২ জন গাইড শিক্ষক একজন মহিলা ও একজন পুরুষ শিক্ষক নির্বাচন করবেন। ২ জন গাইড শিক্ষক বিজ্ঞান / কৃষি শিক্ষা/ শরীরচর্চা / গার্হস্থ্য বিজ্ঞান শিক্ষকগণের মধ্য থেকে নির্বাচন করা যেতে পারে। গাইড শিক্ষক ক্লাবের দেখভাল করবেন।