নৌকার বিরোধীতাকারীদের দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে না আনার দাবি
স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার বিরোধীতাকারীদের দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাদের দেওয়া হতে পারে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদ। গত দুইবার পারিলা ইউনিয়ন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হওয়া প্রার্থী ফাহিমা বেগম এ অভিযোগ করেছেন।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজশাহী সাংবাদিক ইউনিয়ন (আরইউজে) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ অভিযোগ করেন। ফাহিমা পারিলা ইউনিয়নের মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। গত দুই ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়েও বিদ্রোহীদের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, যাঁরা তাঁর নৌকার বিরোধীতা করেছেন, তাঁদেরই গুরুত্বপূর্ণ পদে আনার চেষ্টা করছেন রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আয়েন উদ্দিন।
তিনি বলেন, গত দুই ইউপি নির্বাচনের সময় পারিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন সোহরাব আলী ও সাধারণ সম্পাদক নবীবুর রহমান। তারা দুই নির্বাচনেই নৌকার বিরোধীতা করেন। তাদের সাথে সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনের গভীর সখ্যতা আছে। সংসদ সদস্যের কথা ছাড়া জেলা-উপজেলার নেতৃবৃন্দের কথাও তারা মানেন না।
তিনি আরও বলেন, পারিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা সংসদ সদস্যের সাথে গোপনে বৈঠক করে আমাকে পরাজিত করে। তারা নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী সাঈদ আলীকে বিজয়ী করার সিদ্ধান্ত নেন। দলীয় নেতাকর্মীদের বিশ্বাসঘাতকার জন্য ভোটের মাঠে আমি বিজয়ী হতে পারিনি। তারা শুধু আমার সাথে না সংগঠন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। এমন বিশ্বাসঘাতকতা ক্ষমার অযোগ্য।
তিনি বলেন, আগামী ১৯ জুন পারিলা ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন নৌকা বিরোধীতাকারীদের আবারও গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোর চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। ফাহিমা বেগম সংবাদ সম্মেলনে আগামী ১৯ জুনের পারিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে নিজের নাম ঘোষণা করে বলেন, আমি মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাবো। প্রকৃত তৃণমূল আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতাকর্মীরা আমাকে মূল্যায়ন করবে।
ফাহিমার সংবাদ সম্মেলন নিয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিন বলেন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে ইউনিয়নের নেতা নির্বাচিত হবেন। এই সম্মেলন আয়োজন করবে উপজেলা আওয়ামী লীগ। আমি কিছুই না। ফাহিমা কেন এসব কথা বলছেন তা আমি বলতে পারব না। নৌকার বিরোধীতা করা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে এমপির যাওয়া নিষেধ। এরপরও আমি গিয়েছি। বর্ধিত সভা করেছি সবাইকে নিয়ে। তাহলে কে কোথায় নৌকার বিরোধীতা করল? আমার তো জানা নেই।’