‘সাংবাদিকদের জন্য কোনো নতুন আইন হচ্ছে না’
অনলাইন ডেস্ক: সাংবাদিকদের জন্য নতুন কোনো আইন হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একই সঙ্গে নবম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন না করলে পত্রিকার নিউজপ্রিন্ট কোটা, পরিচয়পত্র, বিজ্ঞাপন, ক্রোড়পত্র বিষয়ে সরকারি সুবিধা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)।
বুধবার বিকেলে সচিবালয়ে বিএফইউজের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ বিষয়ে প্রেস কাউন্সিল চেয়ারম্যানের সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘প্রেস কাউন্সিলের বেশির ভাগ সদস্যই সাংবাদিক এবং সম্পাদক। তাঁরাই প্রেস কাউন্সিলকে শক্তিশালী করতে ১৯৭৪ সালের আইন সংশোধনের জন্য ৫ বছর আগে একটা প্রস্তাব করেছিলেন। সেটি এখনো প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। সাংবাদিকদের জন্য দেশে কোনো নতুন আইন হচ্ছে না।’
তথ্যমন্ত্রী এ সময় দেশের গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘অনেক অনিবন্ধিত অনলাইন, আইপি টিভি এমনকি ইউটিউব চ্যানেলে কর্মরতরাও সাংবাদিক পরিচয় দেয়। তাদের কেউ কেউ আবার জেলা প্রতিনিধিও নিয়োগ করে। সে জন্য আবার বেতন না দিয়ে উল্টো তাদের কাছ থেকে টাকা নেয়। কেউ কেউ সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষকে ধোঁকা দেয়। বাস্তবতা হলো, এদের কারণে প্রকৃত সাংবাদিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সে জন্য আমরা প্রেস কাউন্সিল ও প্রেস ইনস্টিটিউটের সঙ্গে আলাপ করেছি নিবন্ধিত গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকদের তালিকা প্রণয়নের জন্য।’
এর আগে বিএফইউজের সভাপতি ওমর ফারুক, সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, মহাসচিব দীপ আজাদ, কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল ও নির্বাহী সদস্যদের মধ্যে ড. উৎপল কুমার সরকার, নূরে জান্নাত আখতার সীমা, উম্মুল ওয়ারা সুইটি ও আঙ্গুর নাহার মন্টি মন্ত্রীর সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন। এ সময় বিএফইউজের পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে পাঁচ দফা দাবি সংবলিত একটি পত্র হস্তান্তর করেন সভাপতি ওমর ফারুক।
নবম ওয়েজ বোর্ড সংশোধন করে সংবাদপত্রের পাশাপাশি টিভি ও অনলাইন গণমাধ্যমে তা দ্রুত বাস্তবায়ন এবং বাস্তবায়ন না করলে পত্রিকার নিউজপ্রিন্ট, অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড, বিজ্ঞাপন, ক্রোড়পত্র বিষয়ে সরকারি সুবিধা প্রত্যাহার, পত্রিকার ঠিক প্রচারসংখ্যা নির্ধারণ, ডিক্লারেশনের ক্ষমতা ডিসি অফিস থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা ও গণমাধ্যম নিয়ে আইন প্রণয়নে বিএফইউজের সংশ্লিষ্টতা নিশ্চিত করার দাবিসহ পত্রটি উপস্থাপন করেন বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদ। ওমর ফারুক এবং মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল এ সময় বক্তব্য দেন। মন্ত্রী দাবিগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার আশ্বাস দেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনের ফলাফলের মাধ্যমে জনগণের রায় প্রতিফলিত হবে।’