সব বিশ্ববিদ্যালয়কে আইন মেনে চলতে হবে: শিক্ষামন্ত্রী
অনলাইন ডেস্ক: দেশের সরকারি ও বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়কে আইন ও আর্থিক বিধিবিধান মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
বুধবার রাজধানীর চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (এডাস্ট) তৃতীয় সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের প্রতিনিধি হিসেবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে গবেষণাগার ও পাঠাগার। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেন খেলাধুলার ব্যবস্থা করে। গবেষণার ক্ষেত্রে দেশ ও বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পাঠ্যক্রম যুগোপযোগী করে ইন্ডাস্ট্রি অ্যাকাডেমিয়া লিংকেজ তৈরির পরামর্শও দেন তিনি।
উচ্চশিক্ষার শিক্ষাক্রম যুগোপযোগী করার আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সনদ ও মুখস্ত-নির্ভর পাঠ্যক্রমের পরিবর্তে প্রয়োগভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে হবে। যা শিখলাম তা বাস্তবে কাজে লাগাতে পারলাম না, এই জায়গা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। চাকরিদাতার চাহিদার সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীর চাহিদার সমন্বয় ঘটাতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের ডিগ্রি অর্জনের পর যাতে তারা কাজে লাগাতে পারে, তাদের সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।
আয়োজনে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ন্যাশনাল বোর্ড অব অ্যাক্রেডিটেশন ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ও সাবেক সভাপতি ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. এসএস মান্থা।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত আলী সিকদার।
বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মো. লিয়াকত আলী সিকদার বলেন, আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান ও সমকালীন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গ্র্যাজুয়েটরা দেশের যোগ্য ও সেরা নাগরিক হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করবে।
সমাবর্তনে ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড, বিওটি চেয়ারম্যান অ্যাওয়ার্ড ও ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড; এই তিনটি ক্যাটাগরিতে মোট ৩০ গ্র্যাজুয়েটকে সম্মাননা দেয়াসহ ৫ হাজারের বেশি গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি দেয়া হয়।
এ সময় বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্য, সিন্ডিকেট ও অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, কূটনৈতিক ব্যক্তিত্ব, অতিথি, ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকতারা সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।