ঢাকা | জানুয়ারী ১৫, ২০২৫ - ৯:৩৭ অপরাহ্ন

ইনক্রিমেন্ট স্থগিত রাখার প্রতিবাদে রাবি শিক্ষকদের কলম বিরতি

  • আপডেট: Tuesday, June 14, 2022 - 10:26 pm

 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের জন্য ঘোষিত ইনক্রিমেন্ট প্রদান স্থগিত রাখার প্রতিবাদে কলম বিরতি পালন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষকরা।

মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে রাবি শিক্ষক সমিতির ব্যানারে আয়োজিত প্রতিকী এই কলম বিরতি কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচি থেকে স্থগিতকৃত ইনক্রিমেন্ট শীঘ্রই চালুর দাবি জানানোর পাশাপাশি শিক্ষকদের গবেষণায় উৎসাহিত করতে দুটি ইনক্রিমেন্ট দেওয়ার দাবি জানানো হয়।

রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কুদরত-ই-জাহানের সঞ্চালনায় ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক হাসনা হেনা বলেন, আমাদের সরকার শিক্ষকবান্ধব এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু কেনো আমাদের অর্জিত অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হলো! এটা আমাদের প্রশ্ন। ইউজিসি যে ইনক্রিমেন্টটা বন্ধ করে দিয়েছে, আমরা দাবি জানাচ্ছি সেটা শীঘ্রই চালু করা হোক। পাশাপাশি দাবি জানাচ্ছি গবেষণায় উৎসাহিত করার জন্য দুটি ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হোক।

বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাহেদ জামান বলেন, পিএইচডি ডিগ্রি না থাকাটাকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের যোগ্যতার ঘাটতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। যে ইনক্রিমেন্টটা বরাবরই চলে আসছে, সেটা বন্ধ করা হয়েছে। কার ইঙ্গিতে এটা করা হয়েছে, আমরা জানিনা। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে এটা হচ্ছে কিনা সেটাও জানিনা। তবে, শিক্ষকদের মর্যাদার বিষয়টা যে জাতি ভাববেনা, তাদের উন্নয়ন কখনোই সুগম হবেনা বলে আমি মনে করি।

কর্মসূচিতে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, পিএইচডি ডিগ্রির জন্য ইনক্রিমেন্ট এটি শিক্ষকদের আর্থিক নয়, আমি বলব মর্যাদার সঙ্গে জড়িত। সরকার ইতোপূর্বে শিক্ষকদের পিএইচডি ডিগ্রির জন্য ইনক্রিমেন্ট দিয়ে যাচ্ছিল হঠাৎ সেটি বন্ধ করা হলো। এটি বন্ধ করে দেওয়ার ফলে শিক্ষদের আর্থিক সুবিধাকেই শুধু বন্ধ করা হয়নি, গবেষণার যে সম্ভাবনা ছিল সেই সম্ভাবনার জায়গাটিও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইউজিসির কাছে তাদের দাবির বিষয়টি জানানো অনুরোধ জানিয়ে, দ্রুত ইউজিসি ইনক্রিমেন্ট বন্ধের ঘোষণাটি প্রত্যাহারের দাবি জানান। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের অর্ধশত শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।