ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ১০:০৪ পূর্বাহ্ন

আরসা প্রধানের নির্দেশে মুহিবুল্লাহকে হত্যা: পুলিশের অভিযোগপত্র

  • আপডেট: Tuesday, June 14, 2022 - 1:35 pm

অনলাইন ডেস্ক: আরাকান সালভেশন আর্মি (আরসা) প্রধান আতা উল্লাহ জুনুনির নির্দেশে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার আদালতে দাখিল করা চূড়ান্ত প্রতিবেদন অভিযোগপত্রে এমন তথ্য জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। তবে ঠিকানা না জানার কারণে নির্দেশদাতা আতা উল্লাহসহ তার সাত সহযোগীকে এই মামলায় আসামি করা হয়নি। অভিযোগপত্রে ২৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৫ জন গ্রেপ্তার হলেও অপর ১৪ জন পলাতক রয়েছে।

কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউর পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের পক্ষে কাজ করতেন। তিনি কক্সবাজারের ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। এই কারণে প্রত্যাবাসনবিরোধী আরসা গ্রুপ পরিকল্পিতভাবে মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে।

তিনি জানান, আসামিদের স্বীকারোক্তিতে বলা হয়েছে এই হত্যাকাণ্ডে নির্দেশদাতা আরসা প্রধান আতা উল্লাহ জুনুনি। এছাড়া হত্যা পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে তার অন্যান্য সহযোগী। জুনুনিসহ সাতজনের ঠিকানা না পাওয়ার কারণে অভিযোগপত্র থেকে তাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। যাদের নাম বাদ দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছেন আরসা প্রধান জুনুনি, ওস্তাদ খালেদ, ওস্তাদ হাসিম, আলমগীর, ইব্রাহিম, মৌলভী মোস্তাক ও মো. আলমগীর।

পিপি জানান, অভিযোগপত্রে ২৯ জনের নাম ঠিকানা উল্লেখ করে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে গ্রেপ্তার কয়েকজন এর আগে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। অভিযোগপত্রে প্রধান আসামি করা হয়েছে আরসা নেতা মো. ছলিমকে। তিনি কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা নুর বশরের ছেলে। এছাড়া আসামি করা হয়েছে শওকত উল্লাহ, মো. সালাম, মো. ইলিয়াছ, আনাস, জিয়াউর রহমান, আজিজুল হক, মোর্শেদ, নাজিম উদ্দিন, আবুল কালাম, হামিদ হেসেন, সিরাজুল মোস্তফা, মৌলভী জকরিয়া, খাইরুল আমিন, মাস্টার আবদুর রহিম ওরফে রকিম, জাহিদ হোসেন ওরফে লালু, ফয়েজ উল্লাহ, ছমির উদ্দিন ওরফে নুর কামাল, সালেহ আহমদ, মোজাম্মেল ওরফে নুর বদিয়া, নুর মোহাম্মদ, তোফাইল, মাষ্টার শফি আলম, আবদু সালাম ওরফে জাকির, হাফেজ আয়াছ, মাস্টার কাসিম, মাস্টার শুক্কুর ও মোস্তফা কামাল। তারা বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দা বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে।

পুলিশ জানায়, ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লম্বাশিয়া ক্যাম্পে নিজ অফিসে রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহতের ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। ৮ মাস ১৩ দিন পর পুলিশ সোমবার আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন। ঘটনার তদন্ত সম্পন্ন করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন উখিয়া উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত গাজী সালাহ উদ্দিন।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, অভিযোগপত্রে রয়েছে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ীে মুহিবুল্লাহকে প্রথমে গুলি করেন আরসা নেতা মাস্টার আবদুর রহিম ওরফে রকিম। এরপর আরো তিনটি গুলি করেন জাহিদ হোসেন ওরফে লালু ও খাইরুল আমিন। পরপর তিনটি গুলির পর মুহিবুল্লাহ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

সোনালী/জেআর