ঢাকা | জুলাই ২৬, ২০২৪ - ৭:১৯ পূর্বাহ্ন

আগামীকাল ভোট উৎসবে যোগ দিবে কুমিল্লা

  • আপডেট: Tuesday, June 14, 2022 - 12:00 pm

অনলাইন ডেস্ক: রাত পোহালেই ভোট উৎসবে যোগ দিবে কুমিল্লা। বহুল কাঙ্খিত কুমিল্লা সিটি করপোরেশনে এবার ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন।

পাঁচ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে তিনজন নৌকার মাঝি আরফানুল হক রিফাত, সাবেক মেয়র টেবিল ঘড়ি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু ও ঘোড়া প্রতীকের আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সারকে নিয়ে হচ্ছে সমীকরণ।

বাকি দুই প্রার্থী হরিণ প্রতীকের কামরুল হাসান বাবুল ও হাতপাখার রাশেদুল ইসলামকে ভাবা হচ্ছে ‘দুধ-ভাত’ অর্থাৎ নামে মাত্র দাঁড়ানো! তবে সকাল থেকে নগরীতে ঘোমট নিরবতা। কমে গেছে যান চলাচল।

সাধারণ মানুষের হাঁটাচলাও ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় সামান্য। এদিকে নগরীর সবচেয়ে জনসমাগমের জায়গা টাউন হলের চা দোকান গুলো রয়েছে বন্ধ, সেখানে মানুষের উপস্থিতি ছিল কম। এমন সুনশান নিরবতা ভোটের সু হিসেবের ইঙ্গিত যে দেয় বলাই চলে।

গেল দিন ছিল নগর ভোটের প্রচারণার শেষ দিন। পাল্টাপাল্টি অভিযোগে শেষ হয়েছে প্রার্থীদের। সকালে রিফাত সাক্কুর বিরুদ্ধে কালো টাকা ছড়ানোর অভিযোগ তুলেন।

এদিকে সাক্কু রিফাতকে সাংসদের নমিনি বলেন আখ্যা দিয়ে বলেন, ‘রিফাত নয়, সাংসদ বাহার আমার প্রতিদ্বন্দ্বী’। অপর দিকে প্রচার শেষ দিন নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিয়ে শেষ করেন ঘোড়ার প্রার্থী কায়সার। তার অভিযোগে বহিরাগতদের শহরে প্রবেশ, সাংসদের আচরণ বিধি লঙ্ঘন ও নির্বাচনী ফলাফল হাতে লেখার পাশাপাশি প্রিন্ট আকারে প্রকাশের দাবি তুলেন।

সোমবার কুমিল্লায় মক ভোটিং পরিদর্শন শেষে স্থানীয় সাংসদ আকম বাহারকে এক হাত নিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার।

অপরদিকে আজ দুপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন কায়সার সংবাদ সম্মেলন করবেন বলেন জানা গেছে। সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু অবস্থান করছেন বাসায়। তবে তিনি দুপুর নাগাদ নির্বাচনী পরিস্থিতি ঘুরে পর্যবেক্ষণ করবেন বলে জানা গেছে। নৌকার প্রার্থী আরফানুল হক রিফাত আজ সাংবাদিকদের সাথে দুপুরে কথা বলতে পারেন। এছাড়া নির্বাচনী মাঠ পর্যবেক্ষণে বিকেলে ঘুরে বেড়াবেন বলে জানা গেছে।

এদিকে নির্বাচনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর অবস্থানে দেখা গেছে সকাল থেকে। তাছাড়া সোমবার রাত ১২টা থেকে ৭২ ঘণ্টার জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে মোটরসাইকেল চলাচল। জেলা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, নির্বাচনী আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে থাকবে পুলিশের তিন হাজার ৬০৮ সদস্য, ৭৫টি চেকপোস্ট, ১০৫টি মোবাইল টিম, ১২ প্লাটুন বিজিবি, ৩০টি র‍্যাবের টিম, অর্ধশতাধিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, ৯ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।

সোনালী/জেআর